কোনো ব্যথাই আরামদায়ক নয়, তবে মাইগ্রেন একটু বেশিই কষ্টদায়ক। এই ব্যথা সম্পর্কে কেবল ভুক্তভোগীই বলতে পারবেন। তবে মাইগ্রেনের সম্ভাব্য কারণগুলো জানা থাকলে এটি এড়িয়ে চলা অনেকটা সহজ হবে।
আবহাওয়ার ধরনের ওপরেও নির্ভর করে মাইগ্রেনের আসা-যাওয়া। অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরির কারণে মাইগ্রেন শুরু হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত আর্দ্রতার তারতম্যে মাইগ্রেন হতে পারে। তাই অতিরিক্ত রোদে বের হওয়ার সময় ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। গরম কিংবা বদ্ধ পরিবেশ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
যারা চাপ নিয়ে কাজ করেন, ঘুম এবং খাওয়ার ক্ষেত্রে রুটিন মেনে চলেন না, তাদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেন বেশি দেখা দেয়। তাই মাইগ্রেন থেকে বাঁচতে মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন।
খাবারে মিষ্টি স্বাদ যোগ করতে আমরা চিনি মিশিয়ে থাকি। কিন্তু জীবনটাকে মিষ্টি করতে চাইলে বাদ দিতে হবে এই চিনি। কারণ আমরা যখন অনেক বেশি মিষ্টি খাবার খাই, তখন আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ইনসুলিনের উৎপাদন হতে থাকে। ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা নেমে যায় অনেকটাই। এভাবে হঠাৎ হঠাৎ রক্তে সুগারের মাত্রার তারতম্য হওয়ার কারণে মাইগ্রেন শুরু হতে পারে।
ঘুম অনেককিছু থেকেই আমাদের দূরে রাখে। একটি নির্বিঘ্ন ঘুম মানে সতেজ জেগে ওঠা। ঘুমিয়ে পড়লে বাইরের আওয়াজ যাতে না যায় ঘরে সে ব্যবস্থা করবেন। কারণ অতিরিক্ত আওয়াজ, খুব জোরে গান শোনা ইত্যাদির কারণেও মাইগ্রেন শুরু হতে পারে।
বেশি বা কম ঘুম কোনোটাই ঠিক নয়। মাত্র একদিনের ঘুমের অনিয়মের কারণে শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পরে। আবার যারা নিয়মিত মোটামুটি ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা করে ঘুমান, তারা যদি হঠাৎ করে বেশি ঘুমিয়ে ফেলেন, সেক্ষেত্রে মাইগ্রেন দেখা দিতে পারে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ক্যাফেন জাতীয় পানীয় পান করেন, তারা হঠাৎ করে সেই অভ্যা ছেড়ে দিলে বা বন্ধ করে দিলে মাইগ্রেন শুরু হতে পারে।
এই কারণগুলো আপনার সঙ্গে না-ও মিলতে পারে। তবে এগুলো থেকে দূরে থাকলে মাইগ্রেনসহ আরও কিছু অসুখ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। আরও অনেক কারণেই মাইগ্রেন হতে পারে। একটু খেয়াল করলেই বুঝবেন, কোন জিনিসগুলোতে আপনার সমস্যা হচ্ছে। সেগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।