মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে কিডনী। বর্তমানে কিডনি রোগ আজ বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের সাথে সাথে বাংলাদেশেও এখন কিডনি রোগ বাড়ছেই।
অধিকাংশ ডাক্তারই বলে থাকেন কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে পান করতে হবে। কেননা কিডনি শরীরের টক্সিন এবং বর্জ্য পদার্থ প্রস্রারের সাথে বের করে দেয়। পর্যাপ্ত পানি পরিমাণে পানি পান না করলে কিডনিতে বিষাক্ত পর্দার্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চুলের খুস্কি দূর করুন এক মিনিটেই
আর তা থেকে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। সেই পাথর মুত্রাশয়ে গিয়ে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি করে। তবে বংশসূত্র থেকেও কিডনিতে পাথর হতে পারে।
অন্যদিকে অধিকাংশ মানুষ কিডনি পাথর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় অপারেশন বলে মনে করে থাকেন।
কিন্তু অপারেশন ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে কিডনি পাথর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব? এটি এমন একটি উপদান যা আপনাদের রান্নাঘরেই খুঁজলে মিলেব। সেটি হলো অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। এটার ব্যবহারে সহজেই কিডনির পাথর দূর হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
ভিনেগার অম্বীয় প্রকৃতির স্বাদ কিডনির পাথর ভাঙতে সাহায্য করে। এটি হজমের সাহায্য করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পর্দার্থ দূর করে।
জীবনযাত্রা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত প্রতিবেদন এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কিডনি পাথর দূর করতে কীভাবে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করবেন
ভিনেগার ও পানি
এটি কিডনির পাথর প্রতিরোধে একটি ভালো উপায়। আট আউন্স পানি মধ্যে দুই চার চামচ ভিনেগার মেশান। এবং পানিটি প্রতি সপ্তাহে একবার পান করুন এবং প্রচুর পানি পান করুন।
ভিনেগার পানি ও বেকিং পাউডার
পাথর দূর করতে এটিও সাহায্য করে। বেকিং সোডার আলকেলাইজিং শরীরে এসিড প্রতিরোধে সাহায্য করে। এক গ্রাস পানির মধ্যে দুই চা চামচ ভিনেগার ও আধা চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে খান। ভালো ফলাফলের জন্য এই পানীয় দিনে তিনবেলা খেতে পারেন।
ভিনেগান ও মুধ
মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টোরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে। মধু পানীয়ের স্বাদও বাড়ায়। তাই এক চামচ ভিনেগারের মধ্যে দুই চামচ মুধ মিশিয়ে খেতে পারেন।
ভিনেগার ও নারকেল তেল
নারকেল তেল ও পানি ত্বকের জন্য যেমন ভালো, তেমনি ভালো চুলের জন্য। দুই চার ভিনেগার এবং দুই চা চামচ নারকেল তেল এক গ্রাস পানির মধ্যে মেশান।