দৈনন্দিন জীবনে মানুষ বিভিন্ন পেশায় নিয়জিত থেকে তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। এর মধ্যে আনেকেই ঘাড়, কোমর এবং পিঠের ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক যে নিয়মগুলো মেনে চললে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
১. আপনি অফিসে দীর্ঘক্ষণ কাজের মাঝে মধ্যে ২-৩ মিনিটের জন্য একটু হেঁটে আসুন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একটানা ২ ঘণ্টা বসে থাকলে শরীরের ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা এক ধাক্কায় কমে যায় প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত । সেই সঙ্গে শরীরের ফ্যাট ঝরানোর উত্সেচকের ক্ষরণ প্রায় ৯০ শতাংশ কমে যায়। আর ৪ ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে ঘাড়, কোমর বা পিঠের সমস্যা ছাড়াও ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যাও হতে পারে।
২. বেড়াতে যাওয়ার সময় বা কাজে বের হওয়ার আগে আমরা অনেকেই পিঠে ভারী ব্যাগ বা অন্য কিছু নিয়ে থাকি। বেশি ওজনের কোনকিছু দীর্ঘক্ষণ ধরে বইতে হলে দু’ কাঁধে সমান ভার না পড়লে কাঁধে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই ব্যাগ এমনভাবেই নিতে হবে যাতে দু’কাঁধে সমান চাপ পড়ে।
৩. অনেকে আবার ভুল ভঙ্গিমায় বসি বা দাঁড়াই। যার ফলে ঘাড়ে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই বসা, দাঁড়ানোর বা ঘুমানোর সময় তার ভঙ্গি সতর্কভাবে খেয়াল রাখুন।
৪. ঘুমানোর সময় বালিশের উচ্চতা সঠিক না হলে বা বালিশ খুব শক্ত বা খুব নরম হলে ঘাড়ে, পিঠে ব্যথা হতে পারে। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া উচিত, যাতে কাঁধ আর ঘাড় না বেঁকিয়ে পিঠ মোটামুটি সমান্তরাল রেখে ঘুমানো যায়।
৫. ফ্রোজেন শোল্ডার বা স্টিফ জয়েন্টের সমস্যায় সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস পরলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায় ঠিকই, তবে এই অভ্যাস দীর্ঘ মেয়াদী হলেই বিপদ! কারণ, চিকিৎসকদের মতে, তেমন কোনও চোট, আঘাত না থাকলে সার্ভিক্যাল কলার বা ব্যাক ব্রেস-এর ওপর নির্ভর না করাই ভাল। এর থেকে ফিজিওথেরাপিস্টদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে কসরত করাই ভাল।