সফল হওয়া সহজ কাজ নয়। নারী বা পুরুষ যেকোন মানুষের জন্যই কঠিন কাজ সেটি।
হার্ভার্ড এমবিএ গ্র্যাজুয়েটদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শুধুমাত্র ৩ শতাংশ মানুষ যাদের পরিষ্কার লক্ষ্য ছিল, তারা বাকি ৯৭ শতাংশ মানুষের চেয়ে গড়ে ১০ গুণ বেশি সফল হতে পেরেছেন।
সেই ছোটবেলা থেকে শুনে আসা একটি বাক্য “ব্যর্থতাই সাফল্যের চাবিকাঠি”, যার মর্মার্থ বুঝে উঠতে আমাদের জীবনের অনেকটা সময়ই পার হয়ে যায়। ব্যর্থ হওয়ার যন্ত্রণা থেকে সাফল্য পাওয়ার উন্মাদনা কতটুকু বেশি বা কম, তার হিসেব মেলানো যেন জীবনের ছক ওলট-পালট করে দেখা।
মানুষের জীবনে অনেক লক্ষ্য থাকলেও সবগুলো পূরণ করা সম্ভব হয় না। কারণ হয়তো লক্ষ্যে কম সময় দিয়েছেন এবং লক্ষ্যে পূরণে অলসতা করেছেন।
লক্ষ্যে পূরণের ক্ষেত্রে যে ভুল গুলো হয়ে থাকে আসুন জেনে নিই:
১। অবাস্তব লক্ষ্য স্থাপন করা: লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারার পিছনে একটি ভুল হল অবাস্তব লক্ষ্য স্থাপন করা। অনেকেই বড় স্বপ্ন দেখে কিন্তু তা যদি অবাস্তব হয় তাহলে তো আপনাকে ব্যর্থই হতে হবে। যে লক্ষ্যগুলি খুব কঠিন মনে হয় সেগুলো প্রায়ই উৎসাহ বা আকাঙ্ক্ষার অভাবের কারণে শুরু করা হয়ে উঠে না। আবার বেশি সহজ লক্ষ্য স্থাপন করাও যুক্তিসঙ্গত নয়।
২। অস্পষ্ট লক্ষ্য সেটিং: সবচেয়ে বড় ভুল হল বেশিরভাগ মানুষ যে লক্ষ্য তৈরি করে যা খুব অস্পষ্ট। একটি উদাহরণে বোঝা যাবে যে কোন ব্যক্তি যখন ঋণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেখা যায় তারা অনেক সময় ঋণ বৃদ্ধি করে ফেলে শুধুমাত্র লক্ষ্য স্পষ্ট না থাকার কারণে।
৩। দায়বদ্ধতা নেই: আরেকটি লক্ষ্য হত্যাকারী ভুল যা অধিকাংশ মানুষ করে তা হল দায়বদ্ধতা-হীনতা। আপনার যেকোন কাজের প্রতি যদি দায়বদ্ধতা না থাকে তাহলে সেই কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ কম থাকবে। আর যেখানে আপনার আগ্রহ নেই সেখানে আপনি কিভাবে ভাল করবেন বা আপনার লক্ষ্য পূরণ হবে? অন্যদিকে আপনি যদি লক্ষ্যে দায়বদ্ধ থাকেন তাহলে আপনার কাজের গতি বেড়ে যাবে, আপনি তা পূরণে অধিক শক্তি ব্যয় করবেন। দায়বদ্ধতা আপনাকে পেছনের দিকে নয় সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
পরিশেষে বলতে হয়, কোন কাজে ব্যর্থ হলে ভাববেন না এটাই আপনার জীবন শেষ। ভাবুন এটা আপনার জীবনের একটা ‘কমা’ মানে স্বল্প বিরতি, ‘ফুলস্টপ’ বা শেষ নয়।