বিশ্বজুড়ে চীন ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে এবং কেবল ট্রাম্প প্রশাসনই এর প্রতিউত্তর করতে পারে। আমি নির্বাচিত না হলে চীন ২০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কব্জা করে নেবে বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিউইয়র্ক, শিকাগো, ফ্লোরিডা, পিটসবার্গ, শোবোগান, ওয়াশিংটন ডিসি-র ইকোনমিক ক্লাবের উদ্দেশ্যে হোয়াইট হাউজ থেকে ট্রাম্প বলেন যে, “আমেরিকাবাসীর কাছে দু’টি পথ রয়েছে, একটি হল আমার আমেরিকানপন্থী নীতি যার মাধ্যমে ঐতিহাসিক সমৃদ্ধি আসবে দেশে আর অন্যদিকে উগ্র বামপন্থী মতামতে বিশাল দারিদ্র্য ও মন্দার পথে যাবে দেশ, যার জেরে নাগরিকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন।
১ অক্টোবর করোনার ভাইরাসে আক্রান্ত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাঁকে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং বেশ কয়েকটি পরীক্ষামূলক ওষুধের সংমিশ্রণে চিকিৎসা করার পরে ট্রাম্প নিজেকে সুস্থ ঘোষণা করেছিলেন। ৩-৪ দিনের মাথায় তিনি হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউজে চলে আসেন৷ ট্রাম্প করোনা মুক্ত এবং তিনি সংক্রমণ ছড়াতে অক্ষম, এই দাবিতে হোয়াইট হাউজের চিকিৎসকরা তাঁকে এখন নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। এই নিয়ে যদিও বিতর্ক হয়েছিল৷
এর আগে মঙ্গলবার ট্রাম্প পেনসিলভেনিয়ায় তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাজনীতির ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি এবং আপনি জানেন যে তিনি কী করেন?” এটি আমার উপর আরও চাপ সৃষ্টি করে। এইরকম ব্যক্তির কাছে হেরে যাওয়ার কথা ভাবলেই আমি হতাশ হয়ে পড়ি৷ ‘
ট্রাম্প স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে কীভাবে জো বাইডেন তাঁর বক্তৃতার মাঝে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মিট রোমনির নাম ভুলে গিয়েছিলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি বলেন, “এটি অবিশ্বাস্য। এটা খুবই বিব্রতকর। তিনি জিতলে চরম বামপন্থীরা দেশ চালাবেন। সে দেশ চালাবে না। চরম বামপন্থীরা ক্ষমতা দখল করবে। “ট্রাম্প আরও বলেছিলেন,” আমরা জিতব এবং আরও চার বছর হোয়াইট হাউজে থাকব। এই নির্বাচন একটি সহজ বিকল্প। বাইডেন জেতা মানে চীনের জয়।