বাগেরহাটের শরণখোলায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাকে পুলিশ আটক করে।
সাদ্দাম হোসেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা। তিনি শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নিহত জোসনা বেগমের বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলায়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, সাদ্দাম হোসেনের প্রথম স্ত্রী থাকলেও জোসনা বেগম নামের এক নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন সাদ্দাম।
জোসনা বেগমের সঙ্গে তাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িসংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন সাদ্দাম। গতকাল রাতে জোসনার আগের ঘরের সন্তানকে নিয়ে সাদ্দামের কলহ হয়। এর জের ধরে জোসনাকে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যার পর জোসনার লাশ টুকরো করে কেটে বস্তায় ভরে গভীর রাতে মাটিতে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করছিলেন তিনি। এ সময় স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সাদ্দামকে আটক করে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। আমরা সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করেছি।
তিনি আরও বলেন, সাদ্দামের স্ত্রীর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ অর্থ্যাৎ পারিবারিক কলহের কোন পর্যায়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা উদঘাটনের চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
