সন্ধ্যা ৭:৪৬ শনিবার ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ৪ঠা জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

হোম দেশ মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেতে মিন্নির আপিল

মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেতে মিন্নির আপিল

লিখেছেন dipok dip
Spread the love

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

আপিলে মৃত্যুদণ্ড থেকে মিন্নির খালাস চাওয়া হয়। গত শনিবার সন্ধ্যায় রিফাত হত্যা মামলার ৪২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।

গত ৪ সেপ্টেম্বর মিন্নিসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়। রায় হাইকোর্টে আসার পর আসামিরা সাত দিনের মধ্যে আপিল আবেদন করতে পারবেন। মূলত কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। তবে দণ্ডিতরা বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল ও আপিলের সুযোগ পান।

এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনকে খালাস দেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)। এদের মধ্যে মুসা এখনও পলাতক রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত বছর ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে নয়ন বন্ড ও তার বন্ধুরা রিফাত শরীফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ২৭ জুন বরগুনা থানায় নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

এ ঘটনায় বাদী ৬ জুলাই মিন্নিকে আসামি করার জন্য বরগুনা থানায় একটি আবেদন করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবির ১৬ জুলাই আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তার করেন।

১৯ জুলাই মিন্নি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। মিন্নিকে বরগুনা জেলা জজ ৩০ জুলাই জামিন নামঞ্জুর করলে সেই আদেশের বিরুদ্ধে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। এরপর উচ্চ আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান মিন্নি। এরপর থেকে জামিনেই ছিলেন মিন্নি। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর মিন্নিকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।

You may also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More