মালয়েশিয়ায় প্রাণঘাতী কোভিড ১৯ করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ও বর্তমানে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগামি বুধবার থেকে স্বাভাবিক চলাচলের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।
সম্প্রতি দেশটির সাবাহ প্রদেশের পশ্চিম উপকূলীয় বিভাগের তিনটি জেলায় অস্বাভাবিক হারে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানান দেশটির সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকব।
স্থানীয় সময় সোমবার (৫ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান এই সিনিয়র মন্ত্রী। এই তিনটি জেলা এখন মালয়েশিয়ার করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কেন্দ্রবিন্দু বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, যে সকল এলাকায় সংক্রমণের হার উচ্চতর সেসব এলাকায়ও কন্ডিশনাল নিয়ন্ত্রণ আদেশ (সিএমসিও) পুনপ্রয়োগে দ্বিধা করবে না তার সরকার। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে এসওপি অনুসরণ করার উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
কন্ডিশনাল নিয়ন্ত্রণ আদেশ (সিএমসিও) চলাকালীন সময়ে রাতের বাজার, পাইকারি বাজার এবং পাসারগুলো যথারীতি বন্ধ থাকবে। তবে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং শুধুমাত্র পরিষেবা সম্পর্কিত কারখানা এবং ব্যবসায়িক চেইন ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছাড়া সমস্ত চলাচলের উপর বিধি নিষেধ আরোপ থাকবে।
এছাড়াও ৭ অক্টোবর থেকে ওই তিনটি জেলা জুড়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, রেলাসহ মালয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা থাকবে।
এদিকে, রাজ্য সরকারের গেজেট অনুযায়ী, স্বাভাবিক চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপর পর যারা কন্ডিশনাল নিয়ন্ত্রণ আদেশ (সিএমসিও) এর নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের ১ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত জরিমানা অন্যথায় ৬ মাসের জেল অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
মন্ত্রী আরও জানান, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিটি রাজ্য সরকারের সাথে নিয়মিত আলোচনা করবেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন।
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৩২ জন। যা গত কয়েক মাসের মধ্যে করোনায় সর্বোচ্চ রেকর্ড। এই পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ১২ হাজার ৮১৩ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১৩৭ জন। তার মধ্যে মালয়েশিয়া সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে ১০ হাজার ৩৪০ জন রোগী সুস্থ হয়েছে ঘরে ফিরেছেন।