সকাল ৯:৫৪ সোমবার ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ৬ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

হোম বিদেশ অস্ত্রোপচারে মেয়ের মৃত্যু, ‘স্যরি’ লিখে চিকিৎসক বাবার আত্মহত্যা

অস্ত্রোপচারে মেয়ের মৃত্যু, ‘স্যরি’ লিখে চিকিৎসক বাবার আত্মহত্যা

লিখেছেন dipok dip
Spread the love

গত ২৩ সেপ্টেম্বর অনুপ কৃষ্ণা নামের এক ডাক্তার নিজের ৭ বছর বয়সী কন্যা সন্তানকে অস্ত্রোপচার করেন। কিন্তু অস্ত্রোপচারে তার সন্তানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন কেরালার এ চিকিৎসক। অনুপ কৃষ্ণা ভারতের কেরালার অর্থোপেডিকসের স্বনামধন্য একজন চিকিৎসক। অনুপ কৃষ্ণা নিজেই অনুপ অর্থো কেয়াল নামের একটি হাসপাতাল চালাতেন।

হিন্দুস্থান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) কাদাপ্পাকাড়াতে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় কোল্লাম জেলার কিলিকোল্লুর পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুপ কৃষ্ণা মৃত্যুর আগে বাথরুমের দেওয়ালে ‘স্যরি’ লিখে আত্মহত্যা করেন। এক সপ্তাহ আগেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার তদন্তকারী অফিসাররা সেই বিষয়টিকেও মাথায় রেখেছেন।

তবে ওই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন কি না- তা এখনই নিশ্চিত করতে পারছে না পুলিশ। অনলাইনে বা অফলাইনে তাকে কোনও হুমকি দেয়া হয়েছিল কি না- তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর তার সাত বছরের মেয়ে বাবার হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিল। হাঁটুর অস্ত্রোপচারের সময় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট অর্থাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয় সে। বাবা নিজেই মেয়ের অস্ত্রোপচার করছিলেন। আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। মেয়ের মৃত্যুর জন্য পরিবার ও স্থানীয়রা হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান।

অনুপের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়। কোল্লাম পূর্ব পুলিশ স্টেশনে তার বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে অনুপের পক্ষেও মুখ খুলেছেন কেরালার একাধিক চিকিৎসক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ভয়াবহ হেনস্তা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে সুলফি নোহু নামের এক চিকিৎসক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একাধিক ডাক্তার এই কোভিড পরিস্থিতিতে মেয়ের হাঁটু অস্ত্রোপচারে রাজি হননি। অনুপ একাই ঝুঁকি নিয়ে রাজি হয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত আমরা শিশুটিকে হারিয়ে ফেলেছি।

জানা গেছে ওই ঘটনার পর থেকেই অবসাদে ছিলেন অনুপ। তবে সে কারণেই আত্মহত্যা করেছেন কি না- তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পরিবার ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন তারা।

You may also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More