প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৃক্ষরোপণ আজ একটি আন্দোলনের রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। মুজিব শতবর্ষে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে গাছের চারা রোপণ শেষে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী এসময় সংসদ চত্বরে গাছ লাগানোর কর্মসূচি নেয়ার জন্য স্পীকারকে ধন্যবাদ জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের নেত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে পদার্পণ করার পর থেকে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে তিনি যখন প্রথম জনগণের রায়ের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান, তখন থেকে তিনি বৃক্ষরোপণকে আরো বেগবান করার জন্য সরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
আজ বৃক্ষরোপণ একটি আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, মানুষ হাট-বাজারে গিয়ে অন্যান্য পণ্য কেনার পাশাপাশি হাতে করে দু’টি গাছও নিয়ে আসেন। একটি করে ফলজ, বনজ, ভেষজ গাছ লাগানোর যে শ্লোগানটি প্রধানমন্ত্রীর দেয়া শ্লোগান। সেকারণে বাংলাদেশে বৃক্ষআচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ গত ১১ বছরে অনেক বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একইসাথে আমরা যদি সামাজিক বনায়ন, রাস্তার ধারে বনায়ন এগুলো ধরি তাহলে বনভূমির পরিমাণ ২০০৮ সালের তুলনায় বেশ কয়েক শতাংশ বেড়েছে এবং বৃক্ষরোপণকে প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনে রূপান্তরিত করার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বৃক্ষ মানুষকে বহুমাত্রিক সুবিধা দেয়, গাছ মানুষকে যেমন অক্সিজেন ও ফুল-ফল দেয়ার পাশাপাশি প্রকৃতিকে নির্মল করে এবং একইসাথে গাছ পানি ধরে রাখে। গাছের এই বহুমাত্রিক উপকারিতার জন্য নগর-বনায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।