দুপুর ১:২৮ শনিবার ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ৪ঠা জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

হোম অন্যান্য বিশ্বে জলাতঙ্ক রোগে মারা যায় প্রতি ৯ মিনিটে ১ জন

বিশ্বে জলাতঙ্ক রোগে মারা যায় প্রতি ৯ মিনিটে ১ জন

লিখেছেন dipok dip
Spread the love

কাল বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধী। যা প্রাণী থেকে মানুষে ও প্রাণীতে সংক্রামিত হয়ে থাকে।

কুকুরের মাধ্যমে রোগটি সংক্রামিত হয়। এখনও বিশ্বে প্রতি ৯ মিনিটে ১ জন ও বছরে ৫৫ হাজার মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জলাতঙ্ক নির্মূলে টিকাদান, পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ান’।

কুকুরকে জলাতঙ্ক থেকে নিরাপদ করতে বিশ্বব্যাপী জলাতঙ্ক নির্মূলে ‘মাস ডগ ভ্যাক্সিনেশন’ বা ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে। কোনো এলাকার ৭০ ভাগ কুকুরকে টিকা দিলে ওই এলাকার কুকুরের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়। তিন বছরে তিন রাউন্ড টিকা দিলে কুকুর থেকে মানুষ বা কুকুর ও অন্যান্য প্রাণীতে জলাতঙ্ক সংক্রমণের হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।

সংশ্লিষ্টরা জানান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে কুকুর কামড়জনিত জলাতঙ্কমুক্ত বিশ্ব গড়তে হবে। বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ।

জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মকৌশলের মাধ্যমে এই অবহেলিত রোগটির বিরুদ্ধে জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর ফলে জলাতঙ্কজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ২০০৯ সালে আনুমানিক ২০০০ এর অধিক থেকে কমে ২০১৯ সালে সারাদেশে ২০০ তে নেমে এসেছে।

ঢাকার মহাখালীস্থ জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০৯ সালে ১৪৮ থেকে ২০১৮ সালে শতকরা ৬৮ ভাগ কমে ৪৯ এ নেমে এসেছে। টিকার মাধ্যমে জলাতঙ্ক প্রতিরোধ হয় এই সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে সারাদেশে ৬৭ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন এর চাহিদা দ্বিগুনের ও বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১২ সালে বিনামূল্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রোগী বেশী টিকা পেয়েছে যা ২০১৮ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৯ এ উন্নীত হয়েছে এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে সিডিসি কর্তৃক সারাদেশে প্রায় তিন লাখ ভায়াল ভ্যাকসিন দেশের বিভিন্ন জেলা সদর হাসপাতাল ও সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, মহাখালীতে প্রদান করা হয়েছে।

কুকুর/প্রাণির আচঁড়, কামড়ের পর টিকা প্রদান করলে জলাতঙ্ক প্রতিরোধ হয়। কিন্তু দেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূল করতে হলে প্রয়োজন কুকুরকে জলাতঙ্ক থেকে নিরাপদ করা।

করণীয় কর্মকৌশলের আলোকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রতি মিলিয়নে ১ জনের কম জলাতঙ্ক নির্মূল এবং ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার বিভাগ সহ সকল দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক সহযোগি সংস্থার সাথে কাজ করছে।

You may also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More