নিজের উপর চলা নির্যাতনের বিচার চাইতেই ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের নামে মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। এসময় তিনি বলেন, কারো প্ররোচনা বা চাপে নয়, বিচার পাওয়ার আশায় মামলা করেছি।
রবি ও সোমবার রাজধানীর দুই থানায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৬ নেতার নামে ধর্ষণের দু’টি মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। শুরু থেকেই এ মামলাকে হয়রানিমূলক দাবি করছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
ধর্ষণের ঘটনায় নুরের বিচার চেয়েছেন খোদ ছাত্র অধিকার পরিষদেরই নেতা সোহেল। তবে ছাত্র অধিকার পরিষদ বলছে, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই মামলা করা হয়েছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার জন্যই এ মামলাগুলো দেয়া হয়েছে। আমরা রাজনৈতিকভাবে করা এসব মামলা রাজপথে থেকেই মোকাবিলা করব।‘
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, ‘আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছে আমি তার ন্যায় বিচার চাই। কোনো ব্যক্তিগত দাবি বা কারও প্ররোচনায় কিছু করিনি।’ অভিযুক্তরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় হতাশ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি।
ধর্ষণ মামলাকে রাজনৈতিক মোড়ক দেয়ার চেষ্টা চলছে দাবি করে সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন খোদ ছাত্র অধিকার পরিষদেরই যুগ্ম আহ্বায়ক এপিএম সোহেল। তবে, ছাত্র অধিকার পরিষদ বলছে, সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হয়েই ভুলভাল বকছেন সোহেল।
ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান জানান, নৈতিক স্থলনের কারণে সোহেলকে ৬ মাস আগে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। সে ক্ষোভ থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন স্ট্যাটাস দিয়েছে সোহেল।