বিশ্বজুড়ে করোনার ভয়াল সংক্রমণে বিপর্যস্ত সব দেশ। এমতাবস্থায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় বিজ্ঞানীরা। তবে স্বস্তির খবর এই যে করোনার ভ্যাকসিন বের না হলেও প্রতিনিয়ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির চিকিৎসক মাইকেল হলিক।
তিনি বলেন, ভিটামিন ডি গ্রহণে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি প্রায় ৫৪ শতাংশে নেমে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য থেকে এক লাখ ৯০ হাজার মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেছেন বোস্টন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের এই অধ্যাপক ও তার সহযোগীরা। তারা দেখেছেন, যাদের শরীরে ভিটামিন ডি যাদের এর ঘাটতি আছে, তাদের তুলনায় যাদের শরীরে এর পরিমাণ পর্যাপ্ত আছে, তাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫৪ শতাংশ কম।
এ–সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স ওয়ানে (প্লস ওয়ান) প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, ভিটামিন ডি’র স্বল্পতার কারণে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
অধ্যাপক হলিক বলেন, ‘ভিটামিন ডি’র বড় উৎস সূর্যের আলো। অনেকেই এ থেকে বঞ্চিত হয়। বিশেষ করে শীতের মাসগুলোয়। আপনার যত ভিটামিন ডি থাকবে, ততই করোনার ঝুঁকি কমবে।’
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন দুই হাজার ইউনিট ভিটামিন ডি দরকার হয়। হলিক জানান, তিনি কয়েক দশক ধরে ছয় হাজার ইউনিট ডি নিচ্ছেন। এ জন্য তার স্বাস্থ্য বেশ ভালো আছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, রক্তে ভিটামিন ডি’র ইতিবাচক উপস্থিতির সঙ্গে করোনায় সংক্রমণের বড় ধরনের সম্পর্ক আছে। জাতি-ধর্ম-লিঙ্গনির্বিশেষে এর প্রমাণ মিলেছে। ভিটামিন ডি ব্যাপক মাত্রায় সাইটোকাইন নিঃসরণের বাধা দেয়। অর্থাৎ সাইটোকাইন স্টর্মে এটি বাধার সৃষ্টি করে।
সূত্র : বোস্টন হেরাল্ড।
