পদ্ম ফুল ফুটেছে জলাশয়ে। যা দেখে বিমোহিত সবাই। পদ্ম ফুলের সেই ভালোলাগা আরো বাড়িয়ে দিলো হলুদ পদ্ম। যা বিশ্বে প্রথমবারের মতো দেখা মিলেছে বাংলাদশে।
ঠিক হলুদ নয় তবে অনেকটাই হলুদের মত দেখতে। এমনই এক পদ্ম ফুলের দেখা পাওয়া গেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ গ্রাম বিলে। যেন অসংখ্য পাঁপড়ির একটি তোড়া সবুজ পাতা ভেদ করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। পূর্ণ ফোটা হলুদ পদ্মের পাশে গোলাপি পদ্মটি দেখতে কিছুটা রুগ্ন মনে হচ্ছে। যদিও পাঁপড়ির দৈর্ঘ্য গোলাপি পদ্মেরই বড়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শরৎ আসলে প্রকৃতিকভাবেই ফুটে ওঠে এই ফুল।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে শিশুরা জড়ো হয় জলাশয়ে। তারপর নৌকা করে এসে তুলে নেয় পদ্ম। এছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন সময়ে দর্শনার্থীর সেখানে গিয়ে মহা আনন্দে উপভোগ করছে পদ্ম ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য।
বিশ্বে দুই ধরনের পদ্ম দেখা যায়; এশিয়ান বা আমেরিকান পদ্মে একটি ফুলে পাপড়ি থাকে ১২ থেকে ১৮টি। সেখানে বুড়িচংয়ের এই হলুদ পদ্মে পাপড়ি সংখ্যা ৬০টিরও বেশি। ভেতরের পাপড়ি পুংকেশরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই ফুলে পুংকেশরের সংখ্যাও প্রায় তিনশ’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ ও বেঙ্গল প্লান্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট যৌথভাবে নতুন জাতের হলুদ পদ্ম নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে। গবেষকদের মতে, বিশ্বের মধ্যে এটা পদ্মের নতুন এক জাত। গবেষকদের মতে, উদ্ভিদ বিজ্ঞানে হলুদ পদ্ম হবে অনন্য সংযোজন।
নতুন এই জাতের পদ্মের ছবিসহ কিছু তথ্য-উপাত্ত যুক্তরাষ্ট্রে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির নামকরণ বিভাগ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় হারবেরিয়ান জাদুঘর ইংল্যান্ডের কিউ গার্ডেনে পাঠিয়েছেন গবেষকরা। আন্তর্জাতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে এই হলুদ পদ্মের নামকরণও হবে অর আলাদা।
স্থানীয় বাসিন্দা সালাউদ্দিন লিটন বলেন, এই জলাশয়ে অনেক আগের থেকেই পদ্ম ফুল ফোটে। গত দুই বছরের মধ্যে এবার বেশি ফুল ফুটেছে। ওদের কেউ বিরক্ত না করার কারণে বংশবিস্তার ঘটেছে বেশি। যখনই সেখানে যাই, মনটা জুড়িয়ে যায়।