তার নাম আলিশা স্মিড। জার্মানির ভবিষ্যত তারকা তিনি। করোনাকালে বেশকিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারও মাঠে নেমেছেন জার্মানির ২১ বছর বয়সী এই সুপার গ্লামার অ্যাথলিট। শুরু করেছেন প্র্যাকটিসও যদিও এ বছরের টোকিও অলিম্পিক্স ২০২০- প্রতিযোগিতাটা অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর। তবে আগামী বছর তিনি যে তার দিকে দৃষ্টি থাকবে ভক্তদের সেকথা বলাই যায়। যদিও অলিম্পিক্সের জন্য তিনি তার দেশ জার্মানি থেকে সিলেক্টেট হবেন কিনা সেটি নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে জার্মানির এই উঠতি ট্র্যাক স্টারের গণ্ডি কেবলমাত্র অ্যাথলেটিক্সের দুনিয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়।
আলিশার জনপ্রিয়তা এখন খেলার থেকেও বেশি তার অসাধারণ গ্লামার লুকের জন্য। আর তাই এই তরুণীর নামের সঙ্গে এরই মধ্যে যুক্ত হয়ে গেছে বিশ্বের সে’ক্সিয়ে’স্ট অ্যাথলিটের তকমাও। নজরকাড়া স্টাইল, শরীরী গঠন আর ভুবন ভোলানো চাহনির নিত্যনতুন ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ভক্তদের হৃদয়ে আসন করে নিয়েছেন আলিশা স্মিড।
অ্যাথলিট হিসেবে নাম করেছিলেন আগেই, পরিচিতিও ছিল বেশ। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাশে পরিণত হয় ইনস্টাগ্রামে একের পর এক তাক লাগানো ছবি পোস্ট করে। এরমধ্যে মাত্র ৪শ’য়ের মতো ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন আলিশা। কিন্তু ফলোয়ারের বিচারে সিলভার স্ক্রিনের যে কোনও সুপার স্টার সেলিব্রেটিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন আলিশা।
ইনস্টাগ্রামে এই মুহূর্তে তার ফলোয়ার ৯ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। বি’কি’নি পরিহিত নানা হট লুকের ছবি এবং ট্র্যাক জগতের অন্দরমহলের ছবি পোস্ট করে তিনি বিপুল পরিমাণ তরুণের হৃদয় জয় করার পাশাপাশি কুড়িয়েছেন বিশ্বজোড়া সুনাম।
সর্বপ্রথম তিনি যখন সবেমাত্র তার ক্যারিয়ারের শুরু করেছিলেন, তখনই তার প্রতিভার ছাপ রেখে জাত চিনিয়েছেন নিজ দেশের অ্যাথলিট সংশ্লিষ্ট সকলকে। আর রানিং ট্র্যাকে যে কোনও নামী তারকাকে এক তুড়িতে তিনি যে হারাতে পারেন, সে কথার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি বারবার।
যেমন ধরা যাক, ২০১৭ সালে ইউরোপিয়ান অ্যাথলেটিক্স আন্ডার টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে কথা। এ আসরে বড়সড় সাফল্য পেয়েছিলেন আলিশা। ৪x৪০০ রিলে ইভেন্টে নিজের প্রথম কোন বড় অর্জন হিসেবে জার্মানির জন্য সিলভার মেডেল জিতেছিলেন। বর্তমানে তার বয়স মাত্র ২১ বছর। এতো কম বয়সে ট্রাক অ্যান্ড ফিল্ডের দাপটের পাশাপাশি এই বয়সেই বিশ্বের সে’ক্সিয়ে’স্ট অ্যাথলিটের তকমা। এক কথায় বিষয়টি অবিশ্বাস্য। কারণ, এই তকমা সহজে পাওয়ার পথটা এতো সহজ না।
বড় বড় তারকা হলেও প্রচুর কাঠখড় পুড়িয়ে নামের পাশে এমন তকমা লাগতে হয়। কিন্তু জার্মান অ্যাথলিট আলিশা স্মিড মাত্র ২১ বছর বয়সেই নিজের নামের পাশে লিখিয়ে নিয়েছেন বিশ্বের সে’ক্সিয়ে’স্ট অ্যাথলিট উপাধি। তবে এই তকমা কিন্তু তাকে সোশ্যাল মিডিয়া দেয়নি।
নামজাদা মিডিয়া হাউজগুলির শিরোনামে একপ্রকার নিয়ম করেই রোজ উঠে আসছিল আলিশার নাম। সংবাদপত্র থেকে শুরু করে ম্যাগাজিন সর্বত্র কভারে কেবলই আলিশার ছবি। বা’স্টেড কভারেজই মূলত তাঁকে বিশ্বের সে’ক্সিয়ে’স্ট অ্যাথলিট উপাধি দেয়। ২০২০ টোকিয়ো অলিম্পিক্সে দেখা যাবে আলিশা স্মিডকে। অলিম্পিক্সে ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার এবং ৮০০ মিটারের ট্র্যাক ইভেন্টে অংশ নিতে দেখা যাওয়ার কথা রয়েছে তাকে।
তার রেকর্ডও কিন্তু যথেষ্ট ভালো। ৮০ মিটার এবং ১০০ মিটার ট্র্যাক ইভেন্টে বরাবরই নম্বর ওয়ানে নিজের নাম তুলেছেন এই জার্মানি তারকা। আর সেই রেকর্ড থেকেই আশাবাদী হতে হচ্ছে সকলকে, টোকিও অলিম্পিক্সেও জার্মানিকে নিরাশ করবেন না আলিশা! প্রতি বছর জার্মানির হয়ে ৪x৪০০ মিটার রিলে ইভেন্টেও নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন ২১ বছরের উঠতি এই অ্যাথলিট।
স্পন্সর পাওয়ার জন্য অ্যাথলিটদের সকল সময় বহু তপস্যা করতে হয়। নিয়মিত জিততে হয় পদক। নামের পাশে রাখতে হয় চ্যাম্পিয়নশিপ টাইটেল। কিন্তু ব্যতিক্রমী আলিশা স্মিডের ক্ষেত্রে এমনতর সাফল্য এসেছিলো চোখের পলকে।
দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে স্পন্সরার হিসেবে নামী ব্র্যান্ড পুমাকে পাশে পেয়েছেন এই জার্মান সুন্দরী। পরবর্তীতেও অ্যাথলিট জগতে দেশের নাম যে, আরও উজ্জ্বল করতে চলেছেন আলিশা তা প্রমাণ করে দিচ্ছে কেরিয়ারের শুরুতেই নামী ব্র্যান্ডের স্পনসরশিপ।
সঙ্গে রয়েছে ভক্তকুলের শুভকামনা।