দেশের সকল নির্বাচন শেষের পর প্রতিনিয়ত অবলীলায় মিথ্যাচার করছেন সিইসি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সদ্য শেষ হওয়া তিনটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতোই বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ভোট ছিনতাই করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) ছিল নির্বিকার। ঢাকা থেকেই ১৬২টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
গতকাল রবিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাবনা-৪, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনের ভোট নিয়ে সিইসির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে গত শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া ওই দিন রাতে যশোরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের বাসভবন, জেলা বিএনপির কার্যালয়সহ জেলা নেতাদের বাসায় হামলার নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনে তিনি জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
উপনির্বাচনের ফল বাতিল এবং পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবিতে আগামী ১৯ অক্টোবর সারা দেশে মহানগর ও জেলায় এবং ২০ অক্টোবর থানা ও উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ফখরুল।
পাবনা-৪, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের প্রশাসনের ভোট কারচুপির ঘটনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওরা (ক্ষমতাসীন দল) জাল ভোট দিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে। ইসি ইভিএম দিয়ে ভুয়া ফলাফল তৈরি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে। আমরা নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছি এবং নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) মুক্ত নন। ওনার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। সাজা স্থগিত হলে তো তাঁর ওপর কোনো বিধি-নিষেধ থাকার কথা না।