মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর সাঁওতাল পল্লীতে কাজলী ওরফে দুর্গীর হত্যা নাকি আত্বহত্যা করেছে এ ঘটনা নিয়ে সাঁওতাল পল্লীতে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
কেউ বলছে গহনা এবং টাকার লোভে গত পাঁচ দিন আগে কে বা কাহারা কাজলীকে হত্যা করে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য মিথ্যা আত্বহত্যার নাটক সাজিয়েছে ।আবার পরিবারের লোকজন বলছে অতিরিক্ত নেশা করার কারনে নিজেই আত্বহত্যা করেছে ।
মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়নের দত্তনগর অন্তগত সাঁওতাল পল্লীতে ।
নিহত কাজলীর ছোট মেয়ে বন্যা বলেন,যে দিন তার মা কাজলী মারা যায় ওই দিন রাত ৮টার দিকে তাকে তার মামার বাড়িতে রেখে আসে ।
ভোর ৫টার সময় কাজলীর বাড়িতে থাকা জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের চনটু ও তার স্ত্রী তাকে সংবাদ দেয় তার মা আত্বহত্যা করেছে।কিন্তু যে ঘরে কাজলী মারা যায় সেই ঘরেতে যেয়ে গলাই দড়ি দেওয়ার কোন দড়ি বা উড়না পাইনি বলে জানান বন্যা।
তা ছাড়া যে দিন তার মা মারা যায় তার আগের দিন রাতে কাজলীর পরনে ছিল সেলোয়ার কামিজ কিন্তু মৃত্যুর পরে তার পরনে ছিল বন্যার জামা,পাইজামা।বন্যা আরো বলেন, আমার মা কোন দিন আমার জামা পাইজামা পরেনি ।শুধু তাই নয় যদি আত্বহত্যা করতো তা হলে হাত দিয়ে মাটি হাচড়ানো থাকতো না ।যে ঘরে লাশ ছিল সে ঘরে কোন দিন সে যেত না এবং ঘরের মধ্যে থাকা সমস্থ জিনিসপত্র ঘোটানো ছিল।
স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে,কাজলী প্রতিদিন নেশা করতো নেশা করে সারাদিন ঘরে পড়ে থাকত এবং কাজলীর মায়ের দেওয়া কিছু স্বর্ণের গহনা নিয়ে তার বড় মেয়ে স্বপ্না এবং তার স্বামী রনজিতের সাথে প্রায় কথাকাটা কাটি হত ।
সরেজমিনে দেখা গেছে,যে ঘরেতে কাজলী আত্বহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেই ঘরটির আড়া ছিল সাড়ে ৫ফিট উচ্চতা কিন্তু কাজলী লম্বায় ছিল ৫ফিট তা ছাড়া গলাই দড়ি দিয়ে আত্বহত্যা করার জন্য ব্যবহৃত দড়ি,কিংবা উড়না কেউ দেখাতে পারেনি। এক পর্যায় তথ্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকদ পরিচয় দেওয়ার পর বাড়ি থেকে গা ঢাকা দেন কাজলীর বড় জামাই রণজিত এবং বাড়িতে থাকা চনটু ও তার স্ত্রী ।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে,কাজলীর মুল আয় ছিল চুল্লোর ব্যবসা সেই সুবাদে কাজলি মোটা মুটি বেশ অথের মালিক ছিল ।তার স্বামী রনটু কাজলী এবং তার দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে রেখে চলে যায়।সেই থেকে কাজলী মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে।
এবিষয়ে স্বরুপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন,দত্তনগর সাঁওতাল পল্লীতে কাজলী নামের এক নারী মারা গিয়েছে এ বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থানে যায় এবং তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলি তারা আমাকে জানাই কাজলী অতিরিক্ত মাদক সেবন করার কারনে স্টক করে হয়ত মারা গেছে।তবে পুলিশ তদন্ত করলে বিষিয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে আসলে কি ভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচাজ(ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন,দত্তনগর সাওতাল পল্লী থেকে কাজলী নামের একজনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।লাশটি ময়না শেষে তার পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
নিহত কাজলীর পরিবারের সদস্যরা বলছে কাজলী অতিরিক্ত নেশা করে স্টক করে মারা গিয়েছে ।এ কারনে লাশটি পোস্ট মডাম করার জন্য মগে পাঠানো হয়। পোস্ট মডামের রিপোট যতক্ষন হাতে পাওয়া না যাবে ততক্ষন পযন্ত বলা যাবে না আসলে স্টক করেছে না তাকে হত্যা করা হয়েছে।তবে এখনও পযন্ত নিহতর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ করেনি ।যার ফলে মহেশপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।