সাধারণ গুগলে ইউজাররা যাদের বেশি খোঁজান, তাদেরকেই সার্চ ইঞ্জিনটি তালিকার প্রথম দিকে নিয়ে আসে। গুগলের ফিল্টার এমনই। যার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি থাকবে, তাকেই আগে দেখাবে। বাংলাদেশের ফিল্ম সুপারস্টারদের খুঁজতে সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সাহায্য নিলেই সামনে চলে আসছে হিরো আলমের নাম ও ছবি!
রোববার (১৮ অক্টোবর) গুগলে Bangladesh Film Superstar লিখে সার্চ করলে সবার উপরে হিরো আলমকে দেখাচ্ছে। শুরুর বেশ কয়েকটি লিংক আসে ফেসবুক ও ইউটিউবে আলোচিত নাম হিরো আলমের। বর্তমানে যার ‘সাহসী হিরো আলম’ ছবিটি দেশের প্রায় অর্ধশত সিনেমা হলে চলছে।
তবে অবাক করার বিষয় হলো এই দুটির একটিও হিরো আলমের পেজ কিংবা ইউটিউব চ্যানেল থেকে পোস্ট করা হয়নি। দুটি চ্যানেলের একটি নিউজপয়েন্টটিভি চ্যানেল অ্যাবাউটে ‘ভারত সরকারের ডিজিটাল কনটেন্ট এজেন্সি’ লেখা আছে। এই চ্যানেল থেকে হিরো আলমকে নিয়ে তৈরি করা ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর।
রোববার পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে এই ভিডিও। গুগলে আসা দ্বিতীয় লিংকটি খুশ বায়ারওয়া নামের এক ভারতীয় যুবকের ব্যক্তিগত চ্যানেল। এই ভিডিওটির লোকেশনও দেখাচ্ছে ভারতে।
এদিকে একটি দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের তেমন প্রতিনিধিত্বকারী কেউ না হলেও গুগল সার্চে হিরো আলমের নাম আসায় দেশের এই অঙ্গনের অনেকেই অসন্তুষ্ট। ভারতীয় কেউ কেউ ইচ্ছেপ্রসূতভাবেই বাংলাদেশকে খাটো করতে এমন বাজে প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
উল্লেখ্য, বেশকিছু মিউজিক ভিডিও বানিয়ে তিনি দেশব্যাপী রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ‘মার ছক্কা’ শিরোনামের একটি ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে হিরো আলম ঢুকে পড়েন চলচ্চিত্রেও। সেখানে তাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা যায়।
বড় পর্দায় আসার পর তাকে নিয়ে নানা সময়ে প্রচুর বিতর্ক ও সমালোচনা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তার কথা বলার ধরণ, ভাষা, চেহারা, উচ্চতা এবং অভিনয় দক্ষতা নিয়ে। কিন্তু কোনো কিছুকেই পরোয়া করেননি বগুড়ার এই ছেলে। তার অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘সাহসী হিরো আলম’-এর প্রযোজকও তিনি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) মুক্তি পেয়েছে হিরো আলম অভিনীত সিনেমা ‘সাহসী হিরো আলম’। করোনার জন্য প্রায় সাত মাস বন্ধ থাকার পর প্রথম এই সিনেমাটিই মুক্তি পেয়েছে। গুগলের তথ্য বলছে, ছবিটি প্রকাশের পর গত সাতদিনে অন্তর্জালে তার আধিপত্য বেড়েছে।