রাত ১২:৩৩ রবিবার ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

হোম খেলা সুপার ওভারে হায়দরাবাদকে হারাল কেকেআর

সুপার ওভারে হায়দরাবাদকে হারাল কেকেআর

লিখেছেন sayeed
Spread the love

আইপিএলে সুপার ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েছে কলকাতা নাইটরাইডার্স। রোববার রাতে আগে ব্যাট করে কলকাতা ৫ উইকেটে ১৬৩ রান সংগ্রহ। জবাবে ওয়ার্নারের বদান্যতায় ম্যাচ টাই করে হায়দরাবাদ, ৬ উইকেটে ১৬৩ রান। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

সেখানে যেন অসহায় আত্মসমর্পণ হায়দরাবাদের। কলকাতার ফার্গুসনের প্রথম বলেই বোল্ড আউট ওয়ার্নার। তৃতীয় বলে বোল্ড আব্দুল সামাদও। দ্বিতীয় বলে দুই রান করেছিলেন সামাদ। সুপার ওভারে হায়দরাবাদের সংগ্রহ দুই রান। তিন রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কলকাতাকেও খেলতে হয়েছে চারটি বল।

রশিদের প্রথম বলে মরগান রান নিতে পারেননি। দ্বিতীয় বলে এক রান। তৃতীয় বলে রান আসেনি। চতুর্থ বলে লেগ বাইতে দুই রান। জয়ী কলকাতা।

এর আগে ১৬৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। উদ্বোধনী জুটিতে জনি বেয়ারস্টো ও কেন উইলিয়ামসন যোগ করেন ৫৮ রান। ফার্গুসনের বলে রানার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন উইলিয়ামসন। ১৯ বলে তার সংগ্রহ ২৯।

ওয়ান ডাউনে নামা প্রিয়াম গার্গ টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ (৭ বলে চার রান)। পরের ওভারেই বিদায় নেন বেয়ারস্টো। ২৮ বলে তিনি করে যান ৩৬ রান, সাতটি চার।

ওপেনিংয়ে সব সময় নামলেও অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার নামেন চার নম্বরে। এসেই মুখোমুখি দুঃসময়ের। এক পাশ আগলে রেখে তিনি ব্যাট চালালেও অপর প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত। বিদায় নেন মিডল অর্ডারের দুই আস্থার প্রতীক মনিশ পান্ডে (সাত বলে ছয় রান) ও বিজয় শঙ্কার (১০ বলে সাত রান)।

সামাদকে সাথে করে এগিয়ে চলেন ওয়ার্নার। শেষ দুই ওভারে আসে নাটকীয়তা। ১২ বলে দরকার ৩০, রান আসে ১২। শেষ ওভারে হায়দরাবাদের দরকার ১৮। ওয়ার্নার রাসেলকে টানা তিন চার মেরে ম্যাচে আনেন উত্তেজনা।

শেষ বলে দরকার ছিল দুই রান। ব্যাটে লাগাতে পারেননি বল ওয়ার্নার। তবু দৌড়ালেন। লেগ বাই থেকে ১ রান। ম্যাচ টাই। সুপার ম্যাচে শেষ হাসি হাসে কলকাতা। ৩৩ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ার্নার। ১৫ বলে সামাদের রান ২৩।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে একমাত্র আন্দ্রে রাসেল ছাড়া কম বেশি রান পেয়েছেন কলকাতার প্রায় সবাই। ২৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস এসেছে মরগানের ব্যাটেই। শুরুর দিকের অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক ২৯ রানে থাকেন অপরাজিত। ২৯ রান করেছেন নিতিশ রানাও।

ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা এসেছে ওপেনার সুবমান গিলের ব্যাট থেকে। ৩৭ বলে তিনি করেন ৩৬ রান। হাঁকিয়েছেন পাঁচটি চার, নেই ছক্কার মার। আরেক ওপেনার ত্রিপাঠি করেন ২৩ রান। ১১ বলে ৯ রানে আউট ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।

৪ ওভারে ১৫ রানে তিন উইকেট নেন কলকাতার ফার্গুসন। সুপার ওভারে বোল্ড করে দুজনকে। অনুমিতভাবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই।

You may also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More