দেশে চলমান ধর্ষণের ঘটনায় শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েও চলমান আন্দোলন থামানো যাবে না বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন ‘আজকে সারাদেশ ভয়ানকভাবে অসুস্থ, রোগে, যৌন নীপিড়নে ও ধর্ষণে আক্রান্ত। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই। এজন্য কমিশন করে, সবার সাথে কথা বলে, দেশকে গণতন্ত্র দেওয়া এবং মধ্যবর্তী নির্বাচন ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সামনে আর কোন পথ নেই।’
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ন্যায় জঘন্য ও ঘৃণ্য অপরাধের প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভয় কেন পান? একটা মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়ে দেখুন না। নির্বাচনে আসুন, গণতন্ত্র ফেরত দিন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়াই এই রোগের চিকিৎসা।
আমি বলি, আপনি সামগ্রিক পরিবর্তন আনেন। একটা কমিশন করে সবাইকে ডাকুন। আপনি একাই কিছুই করতে পারবেন না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির ব্যাপকতা তুলে ধরে ‘সরকার চুরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে দেশ চলতে পারে না। হঠাৎ মন্ত্রী সাহেব বলছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক আছে। কী রক্তের সম্পর্ক আছে? মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা যে রক্ত ঝরিয়েছি সেটা না আজকে ভারতীয় জোটের সম্পর্ক। এই ভুল পথ থেকে সরে না আসলে সবার জন্য সমূহ বিপদ।’