‘বিজয়া’ শিরোনামের একটি নাটকে সনাতনী সম্প্রদায়কে কটাক্ষ, ধর্মান্তরকরণ ও সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ, নাটকটির পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ ভুঁইয়া ও রচিয়তা সালেহ উদ্দীন সোয়েব চৌধুরীকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগকারী লিটন কৃষ্ণ দাসের পক্ষে এ চিঠি পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করে আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে নির্মিত ‘বিজয়া’ নামের নাটকে সনাতনী সম্প্রদায়ের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে তিনি উল্লেখ করেছেন, আমার মক্কেল বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, আপনি শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ‘বিজয়া’ নামে একটি নাটক নির্মাণ করেছেন। উক্ত নাটকের ট্রায়াল ভার্সন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও সামাজিক মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথে লক্ষ লক্ষ সনাতনী সম্প্রদায় অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে নাটকটি দেখার জন্য ব্যাকুল হয়েছিল।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, নাটকটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, এতে সূক্ষ্ম ও তীক্ষ্মভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীদের চরিত্র হনন করা হয়েছে এবং সনাতন পুরুষদের মদ্যপ, নিষ্ঠুর আচরণকারী, অক্ষম ও উদাসীন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যার মাধ্যমে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে পরকীয়া ও ধর্মান্তরকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে নির্মিতি এ নাটকটির ট্রায়াল ভার্সন ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে; যা দর্শকের নিকট থেকে সমালোচিত। এর ট্রায়াল ভার্সন পর্যবেক্ষণ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা চরমভাবে হতাশ, মারাত্মক মর্মাহত আহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারই ব্যাপক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
নাটকটিতে সাম্প্রদায়িক মনোভাব স্পষ্ট। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে এ নাটকটি ট্রায়াল ভার্সন প্রত্যাহার ও নাটকটি সর্বমহলে বয়কটের দাবি উঠেছে। নাটকটি বর্তমান আকারে যদি প্রচারিত হয় তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে সনাতন সম্প্রদায়ের ভাবাবেগ ও সনাতন ধর্ম অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিতর্কিত ‘বিজয়া’ নাটকটি প্রত্যাহার করতে অভিযুক্তদের প্রতি বিনীত অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে দেশে প্রচলিত যেকোনও দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের আশ্রয় নেওয়া হবে।