লালমনিরহাটে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি (১২) অবশেষে পুত্রসন্তান জন্ম দিয়েছে। মেয়েটি গত সোমবার (৫ অক্টোবর) রংপুরের বেসরকারি রোজ ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেয়। চতুর্থ শ্রেণির শিশুটি আরেকটি শিশুর জন্ম দেওয়ায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ওই ছাত্রীটি স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবে ঝুঁকি থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন। পরিবার অতিদরিদ্র হওয়ায় বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত ওই প্রসূতি মায়ের যাবতীয় ব্যয় বহন করেন।
জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর (১২) দিনমজুর বাবা-মা পাথর ভাঙার মেশিনে কাজ করতেন। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী দুই সন্তানের জনক ওয়াজেদ আলী দীর্ঘদিন ধরে ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে গত ২৬ জুলাই পাটগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, ধর্ষিতা মেয়েটি মা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামি গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।