ধর্ষণর জন্য নারীর অশালীন পোশাককে দায়ী করে দেয়া ভিডিও বার্তাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোশাক ব্যবসায়ী ও ঢালিউডের আলোচিত–সমালোচিত অভিনেতা অনন্ত জলিল। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২৪ ঘন্টা পান না হতেই রোববার (১১ অক্টোবর) ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে ভিডিওটি সরাতে বাধ্য হন তিনি।
তার ওই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নতুন ভিডিও বর্তা দিয়েছেন তিনি। আগের ভিডিওটি সরিয়ে পোস্ট করেছেন সম্পাদিত নতুন ভিডিও।
শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ৬ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে জলিল বলেছিলেন, ‘অশালীন পোশাক ধর্ষণের কারণ’, ‘শালীন পোশাক পরা নারী কখনোই ধর্ষণের শিকার হন না’, ‘পোশাক ভালো না হলে নারীর ফিগার দেখে বাজে স্বভাবের লোকজন ধর্ষণে উসকানি পায়।’
ওই ভিডিওতে তরুণীদের উদ্দেশে জলিল বলেছিলেন, তোমাদের ভাই হিসেবে কিছু কথা বলতে চাই। নাটক, সিনেমা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনুসরণ করে অন্য দেশের মেয়েদের মতো মডার্ন হতে গিয়ে বিদেশি সংস্কৃতির পোশাক পরছ। এসব পোশাকের জন্য রাস্তার বখাটেরা তোমার চেহারার দিকে না তাকিয়ে তোমার শরীর ও ফিগারের দিকে নজর দেয়। তোমাদের পোশাক দেখেই তারা তোমাদের ফিগার নিয়ে নানা কথা বলে। আর তাদের মাথায় ধর্ষণের চিন্তা আসে।
জলিলের এই ধরণের বক্তব্যের জন্য চলচ্চিত্রাঙ্গনের অনেক পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক তীব্র সমালোচনা করেন। অনেকেই তাকে বয়কটের ডাক দেন।
এরপর ভিডিওটি সরিয়ে জলিল লেখেন, গতকালের ভিডিওতে আমি মূলত মেয়েদেরকে শালীনতা বজায় রাখার কথা বলতে চেয়েছি। অনেকেই বিষয়টিকে পজিটিভভাবে নিয়েছেন আবার অনেকেই নেগেটিভভাবে নিয়েছেন। আমি কোনো বিতর্কে জড়াতে চাই না। নারী-পুরুষ উভয়েই পরিবার ও সমাজের জন্য অনিবার্য। পরিবার টিকিয়ে রাখার জন্য যেমন নারী-পুরুষের সম্মিলিত উদ্যোগ, পরিকল্পনা, ত্যাগ ও সংযমের প্রয়োজন। একজনকে উপেক্ষা করে বা বাদ দিয়ে কেবল পুরুষ কিংবা নারীর পক্ষে বেশি দূর এগোনো সম্ভব নয়। তাই আমরা চাই নারী-পুরুষের সৌহার্দ্যপূর্ণ সমঝোতামূলক সম্পর্ক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার।