বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হলো ‘নোবেল’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকবার বলেছেন, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু এবারও পেলেন না। এবার ‘নোবেল’ শান্তি পুরস্কার পেয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি।
২০১৮ সালে ট্রাম্প বলেছিলেন, নর্থ কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে পারমাণবিক অস্ত্র ছেড়ে দিতে রাজি করার প্রচেষ্টার জন্য তিনি এই পুরস্কারের অধিকারী।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাইরানের মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে হওয়া চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ট্রাম্পের সম্ভাবনা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নোবেল পাওয়া হলো না মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
সংঘাত, বিভাজন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মহামারিতে কাটতে থাকা ২০২০ সালের নোবেল পুরস্কারকে আশার একটি বিরল মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন অনেকে।
এদিকে শান্তিতে ২০২১ সালের নোবেল পুরস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে মনোনীত করেছেন নরওয়ের এক আইনপ্রণেতা।
গত মাসে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথ সুগম করতে দু’দেশের মধ্যে চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছেন ট্রাম্প।
ঐতিহাসিক এ শান্তিচুক্তির কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে বুধবার মনোনীত করেন নরওয়ের পার্লামেন্ট সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টিবরিং-জেড্ডে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করলেন তিনি।
উল্লেখ্য, নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া শুরু হয় ১৯০১ সাল থেকে। তারপর থেকেই এ পুরস্কারটি রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।