এখন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত নাগরিকদের স্থায়ী ভিসা পেতে ইংরেজি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষায় পাস করতে হবে বিধান রেখে একটি বিল উত্থাপন করেছে দেশটির সরকার।
পার্লামেন্টে এই অভিবাসন বিল পাস হলে আগামী বছরের শুরু থেকেই এটি কার্যকর করবে সরকার। এটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতা করছেন সমালোচকরা। সরকার বলছে, এর ফলে সমাজের সঙ্গে অভিবাসীদের সংহতি বাড়বে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বিবিসি।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী অ্যালেন টুজে বলেছেন, আমরা এমন অভিবাসনপ্রত্যাশী বা মধ্যস্থতাকারী চাই, যাদের ইংরেজি ভাষায় কার্যকর দক্ষতা থাকবে। অথবা অন্তত তাদের ইংরেজি শেখার সত্যিকার প্রচেষ্টা থাকবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইংরেজি ভাষায় দক্ষদের অভিবাসন পরীক্ষায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির কনজারভেটিভ সরকার। দেশটিতে বর্তমানে শ্রমিক ও শিক্ষা ভিসার ক্ষেত্রেও ইংরেজি ভাষা দক্ষতাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর নাগরিকত্বের আবেদনকারীকেও ভাষা দক্ষতার পরীক্ষায় পাস করতে হয়।
অ্যালেন টুজে আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে এমন অন্তত ১০ লাখ মানুষ রয়েছেন, যারা ইংরেজিতে অদক্ষ বা ভাষা জ্ঞান নেই। এমন ব্যক্তিদের কাজ ও সামাজিক দক্ষতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
আর প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, সঙ্গীরা অস্থায়ী ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করবেন, তাদের এ দেশে স্থায়ী হতে হলে অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ভাষা তথা ইংরেজি জানতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক এই পরিবর্তনকে ‘বর্ণবাদী আচরণ’ আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতা করেছেন কিছু সমালোচক। তারা বলছেন, অ-পশ্চিমা ও তাদের সঙ্গীদের লক্ষ্য করে আইনে এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে। তারা এটাকে ‘শ্বেতাঙ্গবাদী অস্ট্রেলীয় নীতি’ আখ্যা দিয়ে ষাটের দশকের একটি আইনের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।