ছাত্রলীগের নির্যাতনে মারা যাওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর)। গত বছরের এদিনে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করে ছাত্রলীগ।
বুয়েটছাত্র আবরারে মুখটি কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। বাড়িতে কেউ গেলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন।
গতকাল সোমবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের আবরার ফাহাদের বাড়িতে গেলে তাকে দেখা যায় ছোট ছেলে আবরার ফাইয়াজের সঙ্গে মা রোকেয়া খাতুন। বাড়িতে ঢুকতেই প্রথম যে কক্ষ সেখানেই থাকতেন আবরার ফাহাদ।
এখনও পড়ার টেবিলে সাজানো তার সব বই। শোকেসে আবরারের ব্যবহার করা নানা জিনিসপত্র সাজিয়ে রেখেছেন মা। জামাকাপড়, আইডি কার্ড এমনকি পায়ের জুতাও রয়েছে সেখানে।
আবরারের মা রোকেয়া খাতুন ওড়না দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলেন, মামলার এজাহার আমি এখনও পড়িনি। ওরা কীভাবে আমার ছেলেকে মেরেছে-এসব পড়লে আমি সহ্য করতে পারব না। তবে মন শক্ত করে রেখেছি, রায় ঘোষণার পর এজাহারটি পড়ে দেখব-ওরা কত কষ্ট দিয়ে আমার সোনার ছেলেকে মেরেছে।
গত বছরের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারতে হওয়া চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ।
এর জের ধরে ৬ অক্টোবর দিনগত রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।