দেশব্যাপি ধর্ষণের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে জাগো বাংলাদেশ- এখনই সময়’ ম্লোগান নিয়ে ছাত্র সমাজের আহ্বানে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে আমরা লক্ষ্য করছি যে সারা দেশে আশঙ্কাজনকহারে হত্যা ও ধর্ষণের মত ঘটনা বেড়ে গেছে। কিন্তু এসব অনৈতিক কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের উল্লেখযোগ্য কোন শাস্তি হচ্ছে না। বিচার না হওয়ার দেশে হত্যা ধর্ষণের মত অপরাধ ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে আমাদের এ দেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে স্বাধীন করেছিলো আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। আমরা পেয়েছি একটা স্বাধীন ও স্বার্বভৌম রাষ্ট্র। আজ আমরা সেই রাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে চলতে পারি না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে আমাদের মা-বোন, সন্তানদের। এমনটাই যদি হয় তাহলে কোথায় আমাদের স্বাধীনতা?
এই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আজ আমাদের রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। আসুন আমরা সকলে মিলে ধর্ষকদের রুখে দিই। যারা ধর্ষণ করছে তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হোক। ধর্ষক যেন কোন রকম আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে বাইরে বের হতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন জানান বক্তারা।
সিলেটের এমসি কলেজে নারী ধর্ষণসহ সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ছাত্র সমাজের এই কর্মসূচি থেকে উদ্বেগ জানানো হয়। হুশিয়ারি দেওয়া হয় রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকরা এখনই দেশের সুনাম বিনষ্টকারী ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে ছাত্র সমাজ রাজপথেই এর সমাধান খুঁজবে।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তৌফিক শুভর সঞ্চলনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এএএম সাইফুর রশিদ, ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহসিন কবির, প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন, সংস্কৃতিকর্মি শাওন দাস, ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি জনি আহমেদ প্রমুখ।