দুপুর ২:০৭ শনিবার ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ৪ঠা জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

হোম দেশ ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী, বিয়েতে অসম্মতি জানানোয় মামলা

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী, বিয়েতে অসম্মতি জানানোয় মামলা

লিখেছেন dipok dip
Spread the love

দেশজুড়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে ধর্ষণের ঘটনা। অনেক সময় এসব অপরাধী আইনকেও পরোয়া করছে না। তবে এবার এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে।

কোচিং সেন্টারে আটক রেখে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তারেকুর রহমান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও সন্তান প্রসবের পর অস্বীকৃতি জানানোয় এ ঘটনায় মামলা করা হয়।

রবিবার ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩নং আদালতে অভিযুক্ত যুবকসহ ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

কুমিল্লা ৩নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগের বিস্তরিত শুনানির পর মামলাটি আমলে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার আদেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিশাত সালাউদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক তারেকুর রহমান চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লহ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সম্পর্কে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর খালাতো ভাই।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছুটির পর কোচিং সেন্টারে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত তারেকুর। এ সময় ধর্ষণের ছবি ধারণ করে রাখেন। পরে এসব ছবি ইন্টারেনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তারেকুর। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পরে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। বিচারে তারেকুর সন্তান প্রসবের পরে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সম্প্রতি ভুক্তভোগী সন্তান প্রসব করলে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান তারেকুর।

পরে রবিবার ভুক্তভোগীর বাবা তারেকুরসহ ৫ জনকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লহ্মীপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন, তারেকুর রহমানের ভাই তৌফিকুর রহমান, তৌহিদুর রহমান ও রমজান আলী ভূঁইয়া।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জানান, নিজের কোচিং সেন্টার ভালোভাবে চালানোর জন্য তারেকুর রহমান চৌধুরী ৬ মাসের জন্য ২ লাখ টাকা ধার চান তার খালার কাছে। বিনিময়ে তিনি খালার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে সেই কোচিং সেন্টারে পড়িয়ে সমাপনী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করিয়ে দেবে বলে প্রস্তাবও দেন। খালা-খালু মেয়ের লেখাপড়ার স্বার্থে এ প্রস্তাবে রাজি হয়ে তারেকুর রহমানের হাতে ২ লাখ টাকা তুলে দেন।

You may also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More