সন্ধ্যা ৭:০৫ শুক্রবার ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ৩রা জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

হোম বিদেশ বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি!

বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি!

লিখেছেন dipok dip
Spread the love

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। নতুন বছরের শুরুতেই ভোট। তার আগে আরও একবার ‘গোর্খাল্যান্ড’ ইস্যু উস্কে দিল কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার।

এ নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিসান রেড্ডি বৈঠক ডেকেছেন। তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব, দার্জিলিঙের জেলাশাসক, জিটিএ-র প্রধান সচিব ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতিকে।

এ বৈঠক ঘিরেই তৈরি হয়েছে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করছে।
তবে এ অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন, রাজনৈতিকভাবে দার্জিলিংয়ের স্থায়ী সমাধান চায় কেন্দ্র।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, সমস্যার মূলে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠি। যেটি কিনা আমন্ত্রিতদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে স্পষ্টভাবে ‘গোর্খাল্যান্ড’ শব্দটি লেখা রয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, গোর্খাল্যান্ড শব্দের ব্যবহার করে কী বোঝাতে চাইছে কেন্দ্র? তবে কি বাংলা ভাগ চায় বিজেপি!

আগামী ৭ অক্টোবর বৈঠক ডাকা হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিসান রেড্ডি। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার রোশন গিরি জানিয়েছেন, বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাবেন তারা।
লোকসভার সবশেষ অধিবেশনে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেছিলেন, মোদী সরকার অনেক বড় সমস্যার সমাধান করেছে। পাহাড় ও ডুয়ার্সের মানুষও স্থায়ী সমাধান চান। দীর্ঘদিন ধরে গোর্খাল্যান্ডের দাবি করে আসছেন তারা। ২০১৯ সালে নির্বাচনী ইস্তাহারে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি।

তার ওই বক্তব্যের এক মাস না পেরোতেই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন গোর্খাল্যান্ড নিয়ে। আর এ কারণেই প্রশ্নটা জোরাভাবে উঠছে।

তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, বিজেপি বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করছে। কোনওভাবেই সফল হতে দেব না। এই ষড়যন্ত্র রুখে দেব।
কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পদক্ষেপে বেশ বিপাকে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর সুরও তাই কিছুটা নরম।
তিনি বলেছেন, বাংলা ভাগের বিরোধী বিজেপি। তবে রাজনৈতিক পথে স্থায়ী সমাধান চায়।

You may also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More