নাগার্নো-কারাবাখে হামলা আরো জোরদার করেছে আজারবাইজানি সেনাবাহিনী। অঞ্চলটির প্রধান শহর স্টিপানাকার্তে আজারি বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে আর্মেনিয়া।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সেখানে টানা সপ্তম দিনের মতো সংঘর্ষ চলেছে।
কারাবাখের আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শুক্রবার কারাবাখের প্রধান শহর স্টিপানাকার্তে প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ করে আজারি সেনারা। এতে বহু মানুষ আহত হয়েছে।
ভারী গোলাবর্ষণের মধ্যে সেখানে বহু অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ শোনা যায়।
এদিকে সংঘাতের শুরু থেকে শান্তি আলোচনা নাকচ করে আসলেও যুদ্ধের ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ শুক্রবারে সুর নরম করেছে আর্মেনিয়া। তারা যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
তবে আজারবাইজান স্পষ্ট করে বলেছে, নাগার্নো-কারাবাখ থেকে আর্মেনীয় সেনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে তারা রাজি নয়।
এদিকে আজারবাইজানকে সমর্থন করছে তুরস্ক। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান বলেছেন, নাগার্নো-কারাবাখ থেকে আর্মেনীয় সেনাদের সরে যেতে হবে। সকল পরিস্থিতিতে আজারবাইজানকে সহায়তার জন্য তুরস্ক প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে তুরস্কের এই অবস্থানের নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স।
আর্মেনিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলেও রাশিয়া এখনো সরাসরি কোনো পক্ষ নেয়নি। তারা দুই পক্ষকে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছে মস্কো।
দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে কয়েক দশক ধরে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। অঞ্চলটি আজারবাইজানের বলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলেও ১৯৯০’র এর দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর গেরিলা গোষ্ঠীর সহায়তায় আর্মেনিয়া তা দখল করে নেয়।
গত রোববার নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে দুই পক্ষের দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হরিয়েছে।