বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ৭ দিনে ৮০৫ দশমিক ৭ টন ইলিশ রফতানি হয়েছে ভারতে। যার রফতানি মূল্য ৭৭ লাখ ৬৯ হাজার ১২০ ডলার। জানা গেছে দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা হিসেবে এই রফতানি করা হয়েছে।
প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার হিসেবে আটশ’ টাকা। মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ও বেনাপোলের ফিশারিজ কোয়ারেন্টিন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার নয়জন রফতানিকারককে মোট ১ হাজার ৪৭৫ টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে।
প্রতি কেজি ১০ মার্কিন ডলার দরে মোট ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি করা হবে। এ বছর মোট ১ হাজার ৪৭৫ টন ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি করা হবে। ইতোমধ্যে যশোরের শার্শার জনতা ফিস ৩২২ টন, ঢাকার রিপা এন্টারপ্রাইজ ১৭৫ টন,টাইগার ট্রেডিং ২১০ টন, ইউনিয়ন ভেঞ্জারের ১৭৫ টন, গাজী ফ্রেশ সি ফুডসের ২৭০ টন, খুলনার জাহানাবাদ সি ফুডসের ১৫০ টন, চট্টগ্রামের প্যাসিফিক সি ফুডসের ১৫০ টন, পাবনার সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং লিমিটেডের ১৫০ টন ও বরিশালের মাহিম এন্টারপ্রাইজের ১৭৫ টন মাছ রফতানি হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস থেকে মাছগুলো ছাড়িয়ে রফতানির দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট নিলা এন্টারপ্রাইজ।
সূত্র জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে ইলিশের চালান বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছলে কাস্টমস ও মৎস্য বিভাগ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকালে রফতানির অনুমতি প্রদান করে। পর্যায়ক্রমে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ভারতে গেছে। সিএন্ডএফ এজেন্ট মহিতুল হক জানান, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতায় ইলিশ নিয়ে যাচ্ছেন।
পরে সেখানকার বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে। কলকাতা ছাড়াও এই ইলিশ বিক্রি হবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে।