বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রায় দিয়েছে আদালত। এতে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায় দেয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিন্নি সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য ভেসে বেড়াচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি, প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়া অবস্তা থেকেই বেপরোয়া জীবনযাপন শুরু হয়েছিল মিন্নির । বাবা-মায়ের অধিক প্রশ্রয়ে আজকের এ পরিণতি। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে মিন্নি অনেক ছেলের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কোনটাই স্থায়ি হয়নি।
তারা আরও জানায়, মিন্নির ওরকম বেপরোয়া জীবনযাপন করলেও তার বাবা-মা কখনই কিছু বলেননি। যার কারণে একের পর এক প্রেম সম্পর্কে জড়ায় মিন্নি। এরই ধারাবাহিকতায় নয়ন বন্ড ও রিফাত শরীফ ছিল তার শিকার। সেই প্রেম সূত্র থেকেই রিফাত শরীফকে হত্যা করে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত করে। এরপর গুরুতর আহত রিফাত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওইদিনই মারা যান।
ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। একইসঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ৮ জানুয়ারি একই মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনার শিশু আদালত।