চুল-দাড়ি কেটেও রক্ষা পেলেন না সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলা আসামি ছাত্রলীগকর্মী তারেকুল ইসলাম তারেক। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯।
এ তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব-৯ এর কর্মকর্তা এএসপি কামরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারেককে আমরা গ্রেফতার করেছি। গণধর্ষণের ঘটনার পর সিলেট থেকে পালিয়ে দিরাইয়ে যান তারেক। পরে মাথার লম্বা চুল ও দাড়ি চেঁছে ফেলেন, যাতে করে তাকে কেউ চিনতে না পারেন। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
গ্রেফতার তারেক সুনামগঞ্জ পৌরশহরের উমেদনগর নিসর্গ ৫৭ নম্বর বাসার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত সরকারের অনুসারী ও ছাত্রলীগকর্মী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আইনউদ্দিন ও রাজন নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এর মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এই গণধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত সব আসামিকে গ্রেফতার করল র্যাব ও সিলেট রেঞ্জ পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসের সামনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন।