৭৫ বছরের ও বেশি সময় ধরে গাছতলায় শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা দিচ্ছেন ভারতের ওড়িশা রাজ্যের এক শিক্ষক। এছাড়াও শিশুদের পাশাপাশি তিনি রাতে প্রবীণদেরও পড়ান। ওই প্রবীণ শিক্ষকের নামশিক্ষক
।
বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই শিক্ষকের বিরল কীর্তি উঠে এসেছে।
নন্দ প্রস্তি মূলত শিশুদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শিক্ষা দেওয়ার পর বিদ্যালয়ে ভর্তি করার পরামর্শ দেন, যেন তাঁরা ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। শিক্ষার প্রতি এমন আগ্রহ তাঁকে ৭৫ বছর ধরে পেশাদার কাজ থেকে দূরে রেখেছে। পেশাদার কাজের পরিবর্তে তিনি বরং জাজপুর জেলায় শিশুদের শিক্ষিত করার কাজটিকেই গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।
Odisha: An aged man in Jajpur teaches children under a tree for free.
Bartanda sarpanch says, "He has been teaching from the last 75 yrs. Refuses any support from govt as it's his passion. But we've decided to build a facility where he can teach children in comfort." (26.09.20) pic.twitter.com/kSYOAkFvss
— ANI (@ANI) September 27, 2020
নন্দ প্রস্তি ওডিশার জাজপুর জেলার বারতান্ডা গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে তাঁকে একটি অবকাঠামো তৈরির জন্য সরকারি সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়, যেন তিনি নির্বিঘ্নে শিক্ষা-কার্যক্রম চালাতে পারেন। তবে তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গাছতলায়ই শিক্ষা দিয়ে আসছেন।
নন্দ প্রস্তি বলেন, ‘আমি খামারে কাজ করতাম। ওই সময় লক্ষ করি, আমাদের গ্রামের অনেক মানুষ নিরক্ষর। এমনকি তারা স্বাক্ষরও করতে পারত না। তারা কেবল টিপসই দিতে পারত। কীভাবে স্বাক্ষর করতে হয়, তা শেখানোর জন্য আমি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। এর মধ্যে অনেকেই আগ্রহ দেখালে তাদের ভগবত গীতা পড়াতে শুরু করলাম। আমি বর্তমানে আমার সেই শুরুর দিকের শিক্ষার্থীদের নাতি-নাতনিকে পড়াচ্ছি।’
বারতান্ডা গ্রামের প্রধান বলেন, ‘৭৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন নন্দ প্রস্তি। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে সহায়তার কথা বলা হলেও তিনি কোনো সহায়তা নেননি। তবে তিনি যেন স্বাচ্ছন্দ্যে শিক্ষা-কার্যক্রম চালাতে পারেন, সেজন্য আমরা একটি ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গ্রামের প্রধান আরো জানান, বৈরী আবহাওয়াও নন্দ প্রস্তিকে একটুও দমিয়ে রাখতে পারেনি। শীত, বৃষ্টি বা গরম আবহাওয়া উপেক্ষা করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।