সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলা আরেক আসামি অর্জুন লস্করকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা মনতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এনিয়ে আলোচিত এই গণধর্ষণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার হলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফরিদ উদ্দিন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনার পর অর্জুন পালিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে আশ্রয় নেয়। সেখানে মনতলা এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিল। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্জুনের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। অর্জুন ধর্ষণ মামলার চার নম্বর আসামি। সে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে।
এর আগে সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে এই মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, রবিউল হাসান ও মাহফুজুর রহমান মাসুম। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরও তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
উল্লেখ্য, শুক্রবার স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
ঘটনার দিন রাত ২টার দিকে এমসি কলেজের হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও একটি চাকু, দুটি লোহার পাইপ, প্লাসসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শাহপরাণ থানা পুলিশ বাদী হয়ে সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।