করোনা সংক্রমণের কারণে আটকেপড়া সৌদি প্রবাসীদের ফেরার ব্যাপারের বিষয় সমাধান হলেও মিলছে না স্বস্তি। কারণ ওয়ার্ক পারমিট বা আকামার নতুন মেয়াদ ১৭ অক্টোবরের মধ্যে সৌদি ফিরতে পর্যাপ্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা হয় নি। তাছাড়া, করোনা মুক্ত সনদ নিয়ে সৌদি আরব পৌঁছানোর এবং কর্মস্থল থেকে নিয়োগকর্তা বা কোম্পানির অনুমতিপত্র প্রদর্শনেরও শর্ত দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সবমিলিয়ে হাজার হাজার সৌদি প্রবাসীর কাজে ফিরে যাওয়া নিয়ে এখনও রয়ে গেছে অনেক অনিশ্চয়তা। এমন অবস্থায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, প্রবাসীদের কাজে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে তারা সবধরনের ব্যবস্থাই নেবেন। সৌদি আরবগামী বাতিল হওয়া সব রুটের ফ্লাইট পহেলা অক্টোবর থেকে চালু হবে ।
উল্লেখ্য, যেসব প্রবাসী সৌদি থেকে রিটার্ন টিকিটে বাংলাদেশে এসে লকডাউনের কারণে আর ফিরতে পারেননি, তাদেরকে সৌদি ফেরাতে এরিমধ্যে দুটি বিশেষ ফ্লাইট ঘোষণা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর বিমান বিশেষ এই ফ্লাইট দুইটি পরিচালনা করবে। বিমান বাংলাদেশের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ বিমানের যেসব যাত্রী ১৬ ও ১৭ মার্চের জেদ্দা ও রিয়াদের বিমানের রিটার্ন কেটেছিলেন তাদের আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর (ঢাকা-জেদ্দা) ও ২৭ সেপ্টেম্বর (ঢাকা -রিয়াদে) যাত্রীবাহী ফ্লাইটে সৌদি আরব নিয়ে যাওয়া হবে।
তবে বাংলাদেশে আটকে পড়া প্রবাসীরা জানিয়ছে প্রায় ৩৫ হাজার প্রবাসীকে সৌদি আরব পাঠাতে ফ্লাইট দরকার পড়বে কমপক্ষে ১৩০টি। কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট বা আকামার নতুন মেয়াদ ১৭ অক্টোবরের মধ্যে এতোগুলো ফ্লাইট পরিচালনার সক্ষমতা সৌদি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আছে কী না তা নিয়েও তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন ।
ওদিকে, সৌদি আরবে অবস্থানরত ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে এবার বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিতে চাপ দিচ্ছে রিয়াদ। না হলে সেখানে কর্মরত ২২ লাখ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।