মাথায় ঝুলছে সাজা। গলায় কাঁটার মতো বিঁধে রয়েছে ফিনান্সিয়াল টাস্ক ফোর্স বা এফটিএফ-এর চাপ। তবু পাকিস্তান অন্তত ২১ জন কুখ্যাত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের ভিআইপি-এর মর্যাদা দিয়ে চলেছে। তার মধ্যে রয়েছে দাউদ ইব্রাহিম। রয়েছে খলিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্সের জঙ্গি রঞ্জিত সিং নীতাও।
সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই এই ২১ জন জঙ্গির নামও প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় দাউদ বা রঞ্জিত সিং নীতার পাশাপাশি রয়েছে, বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশানালের প্রধান রিয়াজ ভাটকল, মিরজা সাদাব বাইগ, আফিফ হাসান সিদ্দিবাপা, ওয়াদহা সিং-এর মতো দাগী অপরাধীরা। এদের অনেকের খোঁজই চালাচ্ছে ভারত।
দিন কয়েক আগেই ভারত মানবাধিকার পরিষদের ৪৫তম অধিবেশনে সন্ত্রাসবাদ এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা করে। জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের এই সম্মেলনে ভারত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে, পাকিস্তান সেই দেশের সংখ্যালঘুদের তথা হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে অত্যাচার করে আসছে। রাইট টু রিপ্লাই-বিবৃতিতে ভারতীয় প্রতিনিধি আরও বলেন পাকিস্তানের অভ্যেসে দাঁড়িয়েছে তৈরি করা গল্প বিশ্বের সামনে তুলে ধরে ভারতকে হেয় করার চেষ্টা করা এবং এই পথে নিজের কু-উদ্দেশ্য সাধন করা।
ভারতের দাবি যে মিথ্যে নয় তাই প্রমাণ করছে এই তালিকা। মনে করা হচ্ছে, এই জঙ্গিতোষণ বন্ধ না করলে এফএটিএফ-এর শাস্তির মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান।
গত মাসে ৮৮ জন দাগী জঙ্গিনেতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পাকিস্তান। সেখানে হাফিজ সৈয়দ আহমেদ, বা মহম্মদ মাসুদ আজাহারের মতো জঙ্গিদের নাম ছিল। তাদের অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। আন্তর্জাতিক যাতায়াতও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। কূটনীতিবিদদের ব্যখ্যা এটা ছিল পাকিস্তানের আইওয়াশ। এফটিএফ ধূসর তালিকা থেকে কালোতালিকায় পাঠিয়ে দিতে পারে এই ভয়েই এমন বিবৃতি দেয় পাকিস্তান। কারণ এ বিষয়ে আর কোনও ব্যখ্যাই দেয়নি পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে পাকিস্তান এফএটিএফ এর ধূসর তালিকায় রয়েছে। এই পর্বে তাদের জঙ্গিমদত ও তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয় একাধিকবার।
সুত্র: নিউজ ১৮।