এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বন্দীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে। তার নাম মামুন হোসেন। গত ৫ বছর ধরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত তিনি। মামুন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ এলাকার বাসিন্দা। ওই কারারক্ষী কারাগারের ব্যারাকে থাকতেন।
ভুক্তভোগী বন্দী মোহাম্মদ আকাশ নগরীর ষষ্ঠিতলা এলাকার বাসিন্দা। তার আট বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান আছে। তার স্ত্রীর নাম পারভীন আক্তার (২৮)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌর এলাকার রহমতপাড়া মহল্লার নাসির উদ্দিনের মেয়ে। ১৪ বছর আগে রাজশাহী নগরীর বাসিন্দা আকাশের সঙ্গে পরিবারের সম্মতিতে পারভীনের বিয়ে হয়।
এ বিষয়ে পারভীন আক্তারের বড় বোন শিরিন আক্তার জানান, আকাশ জেলে যাওয়ার পর ওই কারারক্ষীর সঙ্গে পারভীনের মোবাইলে যোগাযোগ হয়। এরপর তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে যান। গত কোরবানির ঈদের তিনদিন আগে ওই কারারক্ষীর সঙ্গে পারভীন নিরুদ্দেশ হন। তিনি বলেন, ‘আমরা ধরেই নিয়েছিলাম পারভীন স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছে। কিন্তু পরে ফোন করে আমাদের জানিয়েছে, ওই ছেলে (কারারক্ষী) তাকে জিম্মি করে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছেন। বর্তমানে তারা বিয়ে ছাড়াই স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকছেন।
এদিকে পারভীনের স্বামী আকাশ বলেন, তিনি ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন। সেখান থেকে ফেরার পথে নগর ডিবি পুলিশ তাকে সন্দেহভাজন মাদক কারবারি হিসেবে তুলে নিয়ে যায়। ওই সময় তার কাছে টাকা দাবি করে পুলিশের ওই দলটি। কিন্তু তিনি সেই দাবি পূরণ করতে পারেননি। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়। কারাবন্দী থাকাকালীন কারারক্ষী মামুন হোসেনের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়। তিনি স্ত্রীর মোবাইল নম্বর দিয়ে ওই কারারক্ষীকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে খোঁজখবর দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এরপর পারভীনের সঙ্গে ওই কারারক্ষী পরকীয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের গোপন ভিডিও ধারণ করে তাকে জিম্মি করেন কারারক্ষী। তার স্বামীর মাদক মামলায় যাবজ্জীবন হবে জানিয়ে তাকে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে নিয়ে যান। পরে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন।
এদিকে ওই নারীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন কারারক্ষী মামুন হোসেন। তিনি দাবি করেন, ওই নারীর সঙ্গে তার কোনো অনৈতিক সম্পর্ক নেই। তিনি বিবাহিত। তার সংসার আছে।