অভিনেতা সাদেক বাচ্চু আর বেঁচে নেই। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নানিল্লাহি ওয়া…রাজিউন)।
সাদেক বাচ্চুর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, সোমবার সকাল থেকে দুবার তাঁর হার্ট ফেল হয়েছে। দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে আমরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছি।
এর আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সাদেক বাচ্চুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালটির আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি।
অসুস্থ্যতার কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিনয়ে অনিয়মিত সাদেক বাচ্চু। পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও সিনেমায় ছিল তাঁর পদচারণ। নব্বইয়ের দশকে পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী’ ছবিতে অভিনয় করে পরিচিতি পান তিনি।
পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও সিনেমায় ছিল তার পদচারণ। তার নাট্যদলের নাম মতিঝিল থিয়েটার। মহিলা সমিতির মঞ্চে এক নাটকে সাদেক বাচ্চুর অভিনয় দেখে তাকে বিটিভিতে ডেকে নেন প্রযোজক আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমাম।
১৯৭৪ সালে বিটিভিতে তিনি অভিনয় করেন প্রথম অঙ্গীকার নাটকে। এখন পর্যন্ত তার অভিনীত নাটকের সংখ্যা হাজারের বেশি। প্রথম অভিনীত সিনেমা শহীদুল আমিন পরিচালিত `রামের সুমতি’। তিনি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
সাদেক বাচ্চুর আসল নাম মাহবুব আহমেদ সাদেক। চাঁদপুরে দেশের বাড়ি হলেও জন্ম তার ঢাকাতেই।তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বরেণ্য এই অভিনেতাকে হারিয়ে শোক প্রকাশ করছেন তার ভক্ত ও অনুরাগীরা।