সকাল ৮:২২ সোমবার ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ৬ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

হোম দেশ বাংলাদেশ সীমান্তে সন্দেহজনক সেনাসমাবেশ, মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব

বাংলাদেশ সীমান্তে সন্দেহজনক সেনাসমাবেশ, মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব

লিখেছেন Fahmid Souror
Spread the love

বিনা উসকানিতে সীমান্তের কাছে নতুন করে সেনাসমাবেশের প্রতিবাদে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সন্দেহজনক তৎপরতা বন্ধ করে দুদেশের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি অবসানের জন্য মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার সেলের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রথম আলো।
সংবাদমাধ্যমটিকে তিনি জানিয়েছেন, আজ তলবের পর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের হাতে একটি কূটনীতিক পত্র দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার ভোর থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে মাছ ধরার ট্রলারে করে মিয়ানমারের সেনাদের সন্দেহজনক গতিবিধি পরিলক্ষিত হয়েছে। গত কয়েকদিনে সীমান্ত এলাকায় অন্তত তিনটি পয়েন্টে মিয়ানমার সৈন্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।

মিয়ানমার ও ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলোর বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহজনক গতিবিধির মাধ্যমে এ সেনাসমাবেশ দুই দেশের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে গণহত্যা শুরুর প্রাথমিক পর্বে এভাবেই সেখানে সৈন্যদের জড়ো করেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ফলে সম্প্রতি শুরু হওয়া সেনাসমাবেশের কারণে রাখাইনে এখন যেসব রোহিঙ্গা রয়েছেন, তাদের মধ্যে নতুন করে ভীতি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে কা নিউন ছুয়াং, মিন গা লার গি ও গার খু ইয়া—দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের এ তিন পয়েন্টে ট্রলার থেকে সৈন্যরা নেমেছেন। এর সীমান্ত পয়েন্টগুলোর মধ্যে অন্তত একটির দূরত্ব আন্তর্জাতিক সীমান্তের ২০০ মিটারের মধ্যে। ওই তিন পয়েন্টে মাছ ধরার ট্রলারের কাঠের নিচে বসিয়ে সৈন্যদের জড়ো করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে অন্তত এক দিনেই এক হাজারের বেশি মিয়ানমারের সৈন্যদের আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে মিয়ানমারের অন্য আরেকটি কূটনৈতিক সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলছে, মিয়ানমারের সেনাদের বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েনের একাধিক কারণ থাকতে পারে। একটা কারণ হতে পারে, সেনাসমাবেশ বাড়িয়ে নিজেদের উপস্থিতি আরও জোরদার করা।

আরেকটা কারণ হতে পারে, ২০১৭ সালের আগস্টের রোহিঙ্গা গণহত্যার অপারেশনে যেসব সেনাসদস্য যুক্ত ছিল, তাদের দ্রুত সীমান্ত থেকে সরিয়ে নেওয়া। বিশেষ করে আইসিসিতে দুই সৈন্যের জবানবন্দি রেকর্ডের পর থেকে সীমান্ত থেকে পুরোনো সেনাদের ফেরত নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সরকার; যাতে নতুন করে আর কোনো সৈন্য পক্ষত্যাগ করতে না পারে।

You may also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More