করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই মাঠে ফিরেছে ফুটবল। তবে দর্শক প্রবেশের অনুমুতি এখনও মেলেনি। খুব বেশিদিন আর ফুটবলপ্রেমীদের মাঠে ফেরার অপেক্ষা করতে হবে না। আগামী অক্টোবরেই দর্শক মাঠে ফেরাচ্ছে ইংল্যান্ড। এরই মধ্যে অবশ্য পরীক্ষামূলকভাবে দর্শক ফেরানো হয়েছে ফুটবল ম্যাচে। মৌসুম শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে চেলসি-ব্রাইটন ম্যাচে আড়াই হাজার দর্শককে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখেছেন। দূরত্ববিধি মেনেই দর্শকদের বসতে হয়েছে গ্যালারিতে।
নতুন মৌসুমে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে দর্শকদের মাঠে ফেরাচ্ছে ইংল্যান্ড। সিসিটিভি ক্যামেরার সাথে এবার যোগ হবে স্ক্যানিং মেশিন, ডাটা অ্যানালাইসিস সফটওয়ার, কোড এমবেডেড সফটওয়ার, বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ ও কঠিন সুরক্ষা নীতি।
কাতার বিশ্বকাপ ও ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের দর্শক সুরক্ষা নীতি নিয়ে কাজ করা উইল ডারডেন জানালেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে ফুটবল মাঠে দর্শক ফেরাতে বেশ কিছু নীতি নিয়ে কাজ করছেন তারা। প্রতি পদক্ষেপে দর্শকদের সফটওয়ারের মুখোমুখি হতে হবে। বিমানবন্দরের মতো সিকিউরিটি স্ক্যান মেশিন বসানো হবে। প্রতিটি প্রবেশদ্বারে হবে সফটওয়ারের সাহায্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। সেই সাথে থাকবে ডিজিটাল টিকিটেরে ব্যবস্থাও। আর সবই হবে দর্শকদের অনুমুতি নিয়েই।
গণিতবিদ ড. আওফি হান্ট জানালেন, প্রতি ম্যাচেই নেওয়া হবে ডাটা অ্যানালাইসিস সফটওয়ারের সাহায্য। থিড্রি ইমেজিং সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে দর্শকদের গতিবিধি পর্যক্ষেণ করা হবে। দর্শকদের আচরণ, উচ্ছ্বাস প্রকাশ সবই পর্যবেক্ষণ করা হবে। বাথরুম, খাবারের দোকানের সামনে জটলা কমাতে প্রযুক্তির সাহায্য নেবে ইপিএল কতৃপক্ষ। সেই সাথে দর্শকদের মিথস্ত্রিয় আচরণ সীমাবদ্ধ করতেও বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করা হবে জানান তিনি।
বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে স্টেডিয়ামে দর্শকদের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হবে বলে জানা গেছে। আগে থেকেই অ্যাপ দেখে নিজেদের সতর্ক করতে পারবেন দর্শকরা। কোন পথ দিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবেন তারা, কোন সিটে বসবেন, এমনকি কোন পথ দিয়ে কখন বের হবেন সেটাও মোবাইলের মাধ্যমে দর্শকদের জানিয়ে দেওয়া হবে। কোনো দর্শক আইন ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে মাঠে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও পেতে পারেন তিনি।