নিজের ঘরে বাবা-মায়ের সাথে ঘুমিয়ে ছিলো ৬ বছরের ছোট্ট শিশুটি। ভোর রাতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকে গ্রামের দাদার বয়সী আলী হোসেন। মা-বাবার কোল থেকে শিশুটিকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে সে। এরপর একটি ধানক্ষেতে শিশুটিকে ফেলে রেখে চলে যায়। এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।
মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এমন ঘটনায় হতবিহবল শিশুটির মা-বাবাসহ স্বজনরা।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার সাঁতারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আশংকাজনক অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের সাঁতারপুর গ্রামের দরিদ্র রিকসা চালক এবং তার স্ত্রী ভুক্তভোগী শিশুকন্যাসহ তিন সন্তানকে নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। সোমবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে বসতঘরের তিন দিকে সিঁধ কাটা দেখতে পান তারা। এ সময় শিশুটিকে বিছানায় না পেয়ে খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেতে মৃতপ্রায় অবস্থায় পাওয়া যায় শিশুটিকে। এ সময় সেখান থেকে পালিয়ে যেতে দেখেন একই গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আলী হোসেন (৫০)কে। আলী হোসেন শিশুটির পাড়া সম্পর্কিত দাদা।
শিশুটি বর্তমানে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় এখনও সে আশংকামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. হিবরুল বারী।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অবিলম্বে তাকে আটক করা হবে।