দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে গত ১ জুন থেকে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে দুই সিটে একজন যাত্রীকে নেয়ার অনুমতি দিয়ে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু কিছুদিন ধরে বাস মালিকদের বিরুদ্ধে আসন পূর্ণ করেও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠে। এমন প্রেক্ষিতে বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক নিয়মে প্রতি সিটে যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং জনস্বার্থ বিবেচনা করে ৪ শর্তে মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) থেকে আগের ভাড়ায় ফিরছে গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাস। ফলে যাত্রীদের বাড়তি ভাড়ার চাপের অবসান হচ্ছে। এর আগে গণপরিবহনে আগের ভাড়ায় যত সিট তত যাত্রী এমন একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
শর্তগুলো হলো:
১. আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
২. গণপরিবহনে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, হেল্পার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান/ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান-পানি/হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৩. যাত্রার শুরু ও শেষে বাস-মিনিবাসগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়া যানবাহনের মালিকগণকে যাত্রীগণের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি মেনে চলতে হবে।