কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের উলিপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক যুবক। পুত্র বধূকে আনতে গিয়ে শ্বশুর বাড়িতে মাকে আটকে রাখায় রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যা করেন ওই যুবক।
ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাতে নেফড়া কাঠালীপাড়া গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফড়া কাঠালীপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ খোকার পুত্র রতন মিয়া (২৮) পারিবারিক কলহের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে সবার অজান্তে নিজ শয়ন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৩বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী রাজারহাট উপজেলার পুটিকাটা মাঝিপাড়া গ্রামের আশরাফুল আলমের মেয়ে আইরিন নাহার (২০) এর সাথে রতন মিয়ার বিয়ে হয়। এরপর থেকেই রতন মিয়াকে তার স্ত্রীর পছন্দ না হওয়ায় প্রায় সময় পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকতো। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি আইরিন তার পিতার বাড়িতে চলে যান।
এরপর রতন মিয়ার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি জামাইয়ের বাড়িতে এসে রতনের বাবা-মা কে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। গত ১৭ আগস্ট মা রেহেনা ও চাচি বুলবুলি রতনের শ্বশুর বাড়িতে পুত্র বধূকে আনতে যায়। কিন্তু রতনের শ্বশুর বাড়ির তাদের মেয়েকে সংসার করাবে বলে তার মা’কে আটকে রেখে চাচিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে চাচি বাড়িতে এসে রতনকে ঘটনা জানালে সে রাগে ক্ষোভে মঙ্গলবার রাতে শয়ন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
গুনাইগাছ ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।