এক মাস বিশ দিন ধরে পানির সঙ্গেই। করোনা আর পানি এরাই ছিল আমার সবকিছু। ভোর সকালে বেরিয়েছি ফিরেছি রাতে। পানি আর পানি। পানির প্রচন্ড স্রোত আমাকে বার বার আঘাত করেছে। ভেঙ্গে দিয়েছিল পায়ের একটি আঙ্গুল। পিছলে পড়ে বাম হাতের আঘাত এখনো কাঁদায়।সংসার সন্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। ছোট মেয়ে হাফছা বার বার খোঁজ নিয়েছে বাবা বেঁচে আছে কি না। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত না খেয়ে দিন কেটেছে আমার আর ক্যামেরাপার্সন আবুল কালাম আজাদের।
সকালে গলা পানি কোথাও কোমড় পানি আবার কোথাও হাঁটু পানিতে ঘুরে বেরিয়েছি। গায়ের কাপড় গুলো ভিজে শরীরের শুকিয়েছি। আর বৃষ্টি হলে রাতে বাসায় এসে কাপড় ছেড়েছি। সংবাদের পিছনে ছুটতে গিয়ে যে দিন মিসেস ফোনে বললো ঘরে তো চাউল নেই। সেই দিন মনটাই ভরে গেল। আমার প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন মোনাজাত উদ্দিন আমাকে শান্তিনগর মোড়ে বলেছিল তোমার ভাবীর কত গালি শুনেছি। কেন বললো তোমাদের উৎপল দা জানে।
তোমার ভাবী বাজারের ব্যাগ দিয়েছে আমি বাজারে যাবার আগেই ভালো একটা সংবাদের খবর পেয়ে দোকানে ব্যাগ ফেলে চলে গেছি। দোকানদার চাল আলু পাঠিয়ে দিয়েছে। সে কথা মনে করে বুটটা ভরে গিয়েছিল। জামালপুরের বন্যার সংবাদ কভার করে কষ্টের মাঝে পেয়েছি অনেক সুখ।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=792141564924137&id=100023849013182
(লেখক: জাহাঙ্গীর আলম, সংবাদকর্মী, জামালপুর)