মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) পালিত হচ্ছে শুভ জন্মাষ্টমী।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব অপরিসীম। শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ পেতে এদিন অনেকেই উপবাস রেখে পূজা-অর্চনা করেন। তাদের বিশ্বাস- সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগে পূর্ণ অবতার রূপে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শ্রী বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হলেন কৃষ্ণ। যুগে যুগে পৃথিবীতে যখন অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন বেড়ে যায়, তখনই বিভিন্ন অবতার রূপে শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে আবির্ভূত হন।
করোনা মহামারির কারণে জন্মাষ্টমী সীমিত পরিসরে উদ্যাপন করা হবে। জন্মাষ্টমীতে কোনো রকম সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও মিছিল করা হবে না। আলোকসজ্জা, মেলা, আরতি প্রতিযোগিতা ও কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দির প্রাঙ্গণে পূজা অনুষ্ঠান ও সব আচারবিধি পালন করা হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি জানান, জন্মাষ্টমী উৎসব উদ্যাপনে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গণে এক দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় দেশ, জাতি ও বিশ্বমঙ্গল কামনায় শংকর মঠ ও মিশন, সীতাকুণ্ডের সন্ন্যাসীদের পরিচালনায় শ্রীশ্রীগীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে ও রাতে শ্রীশ্রীকৃষ্ণ পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
যুগে যুগে মানুষ রূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন কৃষ্ণ। মহাঅবতার কৃষ্ণের বাণী ভগবত গীতায় বর্ণিত আছে। তিনি প্রেমিক, তিনি শাসক, তিনি মহাজ্ঞানী।