কুয়েতে কয়েক লাখ বিদেশি কমাত আলোচনা শুরু হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও ন্যাশনাল এসেম্বলির মানবসম্পদ বিষয়ক কমিটির মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে নিরাপত্তা, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কুয়েতে নারীর তুলনায় বিদেশি পুরুষের সংখ্যা বেশি। প্রতি তিনজন বিদেশি পুরুষের বিপরীতে আছেন একজন নারী।
অনলাইন কুয়েত টাইমস বলছে, বিদেশি অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য সরকার ও পার্লামেন্ট থেকে যে প্রস্তাবনা এসেছে তা পর্যালোচনা করছে এই কমিটি। এ বিষয়ে পার্লামেন্ট সদস্যরা সাত দফা পরিকল্পনা জমা দিয়েছেন। এতে প্রতিটি অভিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট শতকরা হার নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
দেশটির সরকারি সেবাখাতে কর্মরত আছেন এমন এক লাখ ৬০ হাজার বিদেশির স্থানে স্থানীয়দের নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনার কথা বলেছে কুয়েত প্রধানমন্ত্রী। তবে কবে নাগাদ এ কর্মসূচি শুরু হবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা হয় নি।
প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়েছে, প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার বিদেশী কুয়েতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছেন। এসব অভিবাসী বা অবৈধভাবে বসবাসকারীদের অল্প সময়ের কর্মসূচির অধীনে ‘ডিসমিস’করে দেয়া যেতে পারে। সরকার তার পরিকল্পনায় আরো বলেছে, ‘মার্জিনাল’বা প্রান্তিক পর্যায়ের শ্রমিক কমিয়ে আনতে হবে শতকরা ২৫ ভাগ। সরকারি কর্মক্ষেত্রে বিদেশী কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।
২০০৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কুয়েতে বিদেশী অভিবাসীর সংখ্য বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আলোচনায় উত্থাপন করেছে প্রধানমন্ত্রী। এ সময়ে কুয়েতে গেছেন ৪৪ লাখ ২০ হাজার বিদেশী।