ভারতের উত্তর প্রদেশের লখনউয়েতে রাজ্যের বিধানসভা এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অফিসের সামনে এবার দিনের বেলা অসংখ্য মানুষের সামনে প্রকাশ্যে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে ফেললেন মা ও মেয়ে।
পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে এমন মারাত্মক ঘটনা ঘটান ওই দুই মহিলা। অমেঠিতে তাঁদের জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে পুলিশের গাফিলতি থাকার অভিযোগেই এমন ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে ড্রেন নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে অশান্তি চলছিল ওই পরিবারের। বাড়িতে কোনও পুরুষ সদস্য না থাকায় প্রতিদিন প্রতিবেশীরা তাঁদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিল। ৯ মে থেকে এই সমস্যা চলছে তাঁদের সঙ্গে। মা-মেয়ের অভিযোগ, পুলিশকে বার বার ঘটনার কথা জানানো হলেও, তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এর পরেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন মা এবং মেয়ে।
দু’জনকেই সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে দুই জনের শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছে। ভয়ানক ক্ষতি হয়েছে মেয়েটিরও। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা চল্লিশ মিনিট নাগাদ ওই ঘটনাটি ঘটে। রাজধানী শহরের সবচেয়ে হাই সিকিউরিটি জোনে এমন ঘটনা কী ভাবে ঘটল তা নিয়ে নানামহলে প্রশ্ন উঠছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার ভিডিও তুলে পোস্ট করার পরই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
একজন মহিলার নাম গুড়িয়া। তবে মেয়ের নাম জানা যায়নি। দুজনেই ভয়াবহ পুড়ে গিয়েছেন। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের করোনাভাইরাস পরীক্ষাও করানো হয়েছে। অমেঠির জামো এলাকায় যে গ্রামে মহিলাদের বাড়ি সেখানে খোঁজ খবর শুরু করেছে পুলিশ। সেখানার পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বার বার থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ ওই মহিলাদের।
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে এমন ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। গরিব কল্যাণে এই সরকার ব্যর্থ বলে তীব্র কটাক্ষ অখিলেশের। অন্যদিকে, বহুজন সমাজবাদীপার্টি প্রধান মায়াবতীও ট্যুইট করেছেন। এই ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি।
সুত্র: এই সময়।