মোহাম্মদপুরে! এই নামটির সঙ্গেই যেন মিশে আছে মোঘলীয় বা নবাবী ঐতিহ্যের সব ব্যাপার। প্রতিটি রাস্তার নামকরণ মোগল ও নবাবদের নামানুসারে। নামের পাশাপাশি রসনা বিলাসেও মোহাম্মদপুর ধরে রেখেছে নবাবী ঐতিহ্য।
এখানকার একটি ব্যস্ত রাস্তার নাম সলিমুল্লাহ রোড। তার পাশেই ছোট ছোট দোকানগুলো ঘিরে মানুষের ভিড়। সবার হাতে বাটি। কেউ খাচ্ছেন হালিম আর কেউ সুপ সঙ্গে কেউ লুচি, পুরি, পেঁয়াজু, অন্থন, শিককাবাব, চাপ, মগজভুনা আরও বহু পদের সব খাবার।
এখানে বেশ কিছু দোকান থাকলেও বেশি জনপ্রিয় দোকানটি হল মনা মামার সুপ এবং হালিমের দোকান। স্বল্প বাজেটে অনন্য স্বাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানগুলোর জন্য বেশ জনপ্রিয় রাজধানীর এ সড়কটি। তবে এখানকার দোকানেগুলোতে নেই আধুনিকতার ছোঁয়া।
সন্ধ্যার পরে হলে তো আপনাকে খাবার পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হবে। সন্ধ্যার পরই ভিড় বাড়তে থাকে। নওশাদের সুপে টমেটো সসের সঙ্গে বোম্বাই মরিচ ও কাঁচা মরিচের সসও খেতে দেওয়া হয়। ঝালের চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতারা মরিচের সস নেন। সুপের দাম ৫০ টাকা।
এই সুপের দোকানের সঙ্গেই আছে জামালের হোটেল। বিভিন্ন ধরনের তেলে ভাজা খাবার পাওয়া যায়। নওশাদের সুপের সঙ্গে জামালের হোটেলের লুচি বেশ জনপ্রিয়।
এখানেই শেষ নয়। খাবার শেষে এখানে মিলবে বাহারি পানের দোকান। বিভিন্ন নামের ও দামের বাহারি সব পানের চাহিদা এখানে খাবার শেষে ডেজার্টের ভূমিকা পালন করবে।