চোখের সামনে তিন নাতনীকে ধর্ষণের ঘটনা সইতে না পেরে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধা দাদি। দক্ষিণ আফ্রিকার কাউজুলু-নাটাল প্রদেশের ইম্পেন্ডেল শহরে এই ঘটনা ঘটেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলিমেইলের খবরে বলা হয়েছে, ৭১ বছর বয়সী ওই নারী তার তিন নাতনীকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। মুখোশ পরা এক ব্যক্তি ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এরপর অস্ত্রের মুখে ১৯, ২২ এবং ২৫ বছর বয়সী তিন নাতনীকে একটি ঘরে আটকে ফেলে। আচমকা ঘটনাটি ঘটে যাওয়ায় সবাই ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তবে এরচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় তাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো।
বৃদ্ধা ওই নারীকে বসিয়ে রেখে ঘর থেকে একে একে তার নাতনীদের বের করে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। আর এই ধর্ষণের ঘটনা দেখতে বাধ্য করে ওই বৃদ্ধাকে। চোখের সামনে এই ঘটনা সইতে না পেরে হার্ট অ্যাটাকে ওই বৃদ্ধা মারা যান।
ওই বৃদ্ধা এবং ধর্ষিতা তরুণীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
ওই পরিবারের পক্ষে এক ব্যক্তি বলেন, ধর্ষক তিন তরুণীকে তাদের দাদির ঘরে আটকে ফেলে। তারপর এক একজন করে বের করে এবং ধর্ষণ করে।
আরো পড়ুন:
ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি ভিউয়ের রেকর্ড গড়ল ব্লাকপিংক (ভিডিও)
স্বামী বিদেশ, গভীর রাতে নারীর ঘরে ঢুকে ধরা মেম্বর
বিয়ের আগে যে চারটি শারীরিক পরীক্ষা অবশ্যই করবেন
তিনি বলেন, আমরা বাড়ির ভেতরে গিয়ে ওই দাদিকে মৃত অবস্থায় পাই। ধারণা করা যায় এই ঘটনা সইতে না পেরে তার হার্ট অ্যাটাক হয়।
ধর্ষণের শিকার তিন তরুণী জানান, তাদের দাদিকে স্পর্শ করেনি বা কোনো আঘাতও করেনি ওই দুষ্কৃতিকারী।
আর এ কারণেই হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রাদেশিক পুলিশের মুখপত্র ক্যাপ্টেন এনকোবিল গাওয়ালা বলেন, মুখোশধারী এক ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে ঘটনাটি ঘটিয়েছ। অপরাধীকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।